জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের ((সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ) টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এমন একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২২ জুন) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। সভায় ১৫টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জিল্লুর রহমান জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের টোল আদায়, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) এবং এক্সপ্রেসওয়ের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) আগামী পাঁচ বছরের জন্য টোল আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই টোল আদায়ের জন্য কোম্পানিটিকে ৭১৭ কোটি ৪ লাখ ৯৯৯ টাকা দিতে হবে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩১ মে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

৪৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়সাপেক্ষ ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের কাজ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে কয়েক ধাপে এ প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।

এছাড়া ওয়েট স্কেল স্থাপনসহ আরও অনেক কাজে নির্মাণ ব্যয় ছাড়িয়ে যায় হাজার কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী, মহাসড়কটি দেখভাল করার দায়িত্ব পায় কেইসি।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, আজকে অর্থনৈতিক কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং সরকারি ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের থেকে পাঠানো সব প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, অনুমোদিত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ৩টি এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৫০ কোটি ২৪ লাখ ৯ হাজার ৩০৬ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ১২৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার ৫০৯ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে পাওয়া যাবে ৫ হাজার ৬২০ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৭ টাকা।

এসআর/এসএম