কোরবানির চামড়া সঠিকভাবে ছাড়ানো ও সংরক্ষণের পদ্ধতি জানিয়েছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

চামড়া ছাড়ানোর সময় প্রথমেই পশুর সামনের এক পা থেকে বুকের ওপর দিয়ে অন্য পা পর্যন্ত লম্বালম্বিভাবে ও পেছনের এক পা থেকে অন্য পা পর্যন্ত লেজের গোড়া থেকে প্রায় ৪-৬ ইঞ্চি ওপর লম্বালম্বিভাবে কাটতে হবে।

জবাইয়ের পর চামড়া আড়াআড়ি কাটার জন্য সূচালো মাথার ছুরি ও চামড়া ছাড়ানোর জন্য অবশ্যই বাঁকানো মাথার ছুরি ব্যবহার করতে হবে। কোরবানির পশু জবাইয়ের পর রক্তমাখা ছুরি কোনোভাবেই পশুর চামড়ায় মোছা যাবে না, এতে চামড়ার ক্ষতি হতে পারে।

কাঁচা চামড়ার বড় ধরনের ত্রুটি (লেস-কাটা) অসতর্কতা, অজ্ঞতা ও ভুল ছুরি ব্যবহারের কারণে হয়ে থাকে বিধায় এ ধরনের ভুল ছুরি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ পদ্ধতি

চামড়া ছাড়ানোর পর লবণ দিয়ে সংরক্ষণের আগে অবশ্যই চামড়ায় লেগে থাকা চর্বি, মাংস, রক্ত, মাটি ও গোবর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

কাঁচা চামড়া ছাড়ানোর পর সংরক্ষণের জন্য (গরু/মহিষের ক্ষেত্রে চামড়া প্রতি ৭-৮ কেজি ও ছাগল/ভেড়ার ক্ষেত্রে ৩-৪ কেজি) লবণ প্রয়োগ করতে হবে। লবণ এমনভাবে প্রয়োগ করতে হবে যেন চামড়ার ভেতরের (ফ্লেস সাইডের) কোনো অংশ ফাঁকা না থাকে। সবখানে লবণ সমভাবে চামড়ায় ছড়িয়ে দিতে হবে।

চামড়া ছাড়ানোর ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই লবণ লাগাতে হবে। সংরক্ষণের জায়গা একটু উঁচু ও ঢালু হতে হবে, যাতে চামড়া থেকে পানি ও রক্ত সহজেই গড়িয়ে যেতে পারে।

লবণ দেওয়া চামড়া এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন রোদ-বৃষ্টি বা পানি না লাগে ও আলো বাতাস চলাচলের স্বাভাবিক ব্যবস্থা থাকে। পশু কোরবানির আগেই প্রয়োজনীয় পরিমাণ লবণ কাছের ডিলার/পাইকারি লবণ বিক্রেতার কাছ থেকে সংগ্রহ করে রাখুন।

চামড়ার মান নিয়ন্ত্রণ ও সংরক্ষণে অনুসরণীয় কার্যক্রম

অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা চামড়ার গুণগতমান রক্ষা করে সুবিধামতো সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।

ইউনিয়ন, উপজেলা সদর, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ স্থান (হাট ও বাজার) যেখানে সহজেই চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করা সম্ভব সেখানে অস্থায়ী চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এসআই/এসএসএইচ