যুক্তরাষ্ট্রে এখন মুদ্রাস্ফীতির হার ৯ দশমিক ১ শতাংশ।

বাংলাদেশ ও ভারতের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখন মুদ্রাস্ফীতির হার বেশি এবং তা বেড়েই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন মুদ্রাস্ফীতির হার ৯ দশমিক ১ শতাংশ। ভারতে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭ দশমিক ০১ এবং বাংলাদেশে ৭ দশমিক ৫৬।  .

ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে এখন পাল্লা দিয়ে সুদের হারও বাড়াতে হচ্ছে। গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত চারবার সুদের হার বেড়েছে। ২০১৮ সালের পর এবারই সর্বোচ্চ সুদ হার বাড়ল। আর গত ৪১ বছরে এত দ্রুত মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়েনি।  

ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ার পাওয়েল বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতির হার এখনই যথেষ্ট বেশি। ভবিষ্যতেও তা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে।  

• আরও পড়ুন : মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আইএমএফের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়াচ্ছে। ঋণ নেওয়া আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।  সব মিলিয়ে মার্কিন অর্থনীতিতে এখন মন্দার ঝুঁকি বাড়ছে।  তবে কিছু বিশ্লেষকের মতে, মন্দা হলেও তা খুব বেশি হবে না।

এই অবস্থায় প্রবল চাপে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কারণ, নভেম্বরে তার দলকে মধ্যবর্তী নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হবে। সেখানে যদি রিপাবলিকানরা ভালো ফল করে, তাহলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে ডেমোক্র্যাটরা। যেভাবে জিনিসের দাম বাড়ছে, সুদের হার বেড়েছে, তার প্রভাব বাইডেনের জনপ্রিয়তার ওপরও পড়ছে। 

সুদের হার বাড়ানোর প্রবণতা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ নয়, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ভারতে সম্প্রতি সুদের হার বেড়েছে। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকও ১১ বছরের মধ্যে প্রথমবার সুদের হার বাড়িয়েছে।

এনএফ