বাংলাদেশ ব্যাংকের সংগৃহীত ছবি

ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিদেশিদের কাছে পণ্য বিক্রির পদ্ধতি সহজ করা হয়েছে। এ মাধ্যমে পাওয়া পণ্যের ক্রয়াদেশের বিপরীতে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে (বিজনেস-টু-কনজিউমার) পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ক্যাশ অন ডেলিভারি বা পেমেন্ট অন শিপমেন্ট শর্তে রফতানির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।

এতদিন অনলাইনে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা পণ্য সরবরাহের আগে রফতানি মূল্য পরিশোধ করতে হতো। মূল্য পরিশোধ হলে ই-কমার্স এর আওতায় রফতানি কার্যক্রম সম্পন্ন হতো।

নতুন জারি করা সার্কুলারে আন্তর্জাতিক কার্ডের পাশাপাশি অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার, ডিজিটাল ওয়ালেট বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত যেকোনো পেমেন্ট ব্যবস্থায় ই-কমার্সভিত্তিক লেনদেন সম্পন্ন করা যায় বলে স্পষ্ট করা হয়েছে।

নতুন নীতিমালার আওতায় ক্যাশ অন ডেলিভারি বা পেমেন্ট অন শিপমেন্ট ভিত্তিতে ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে বিক্রিত পণ্যের মূল্য পরিশোধ করা যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকের সঙ্গে বিদেশি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের বৈদেশিক মুদ্রায় অথবা টাকায় সংরক্ষিত হিসাব থেকে রফতানি মূল্য প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা যাবে। পাশাপাশি যথাযথ পেমেন্ট গ্যারান্টি থাকা সাপেক্ষে উক্ত হিসাবের বিপরীতে ওভারড্রাফট সুবিধা দেওয়া যাবে।

এই নিদের্শনার ফলে ইন্টারনেটভিত্তিক রিটেইল ই-কমার্স বিক্রেতাদের পণ্য রফতানি কার্যক্রম আরও সহজ হবে বলে জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যবসায়িক কার্যক্রম সহজ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত নীতিমালা যুগপোযোগী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ই-কমার্স প্লাটফর্মের মাধ্যমে খুচরা পণ্য রফতানি কার্যক্রম আরও জোরদার করতে নতুন জারি করা নীতিমালাটি এডি ব্যাংকগুলোর জন্য সহায়ক হবে।

এসআই/জেডএস