জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম। সাধারণ মানুষের প্রোটিনের অন্যতম উৎস ডিমও এখন দামি পণ্যের তালিকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের হালি দামে হাফ সেঞ্চুরি পার করেছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বন্দর নগরী চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজার ও কাজির দেউড়ী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, খামার থেকেই বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। সামনে দাম কমার সম্ভাবনাও নেই।

চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজারের জান্নাত স্টোরের পাইকারি ডিম বিক্রেতা মো. আমজাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খামার থেকেই আমাদের বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। তবে সামনে দাম কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। ডিমের দাম যে এত বাড়বে, তা আমাদেরও ধারণা ছিলো না।

কাজির দেউড়ী বাজারের খুচরা ডিম ব্যবসায়ী সুভাস প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করছেন ১৬০ টাকা করে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেশি দামে ডিম কিনতে হয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ডজন প্রতি ডিমের দাম ১০ টাকার বেশি বেড়েছে।

সুভাসের দুই দোকান পরই আবুল হোসেনের দোকান। তিনি ডিম বিক্রি করছিলেন ১৫০ টাকা করে। তিনি বলেন, খামার থেকে যে দামে পেয়েছি তার থেকে অল্প কিছু লাভ করেই ডিম বিক্রি করছি।

ডিমের দাম বাড়তির দিকে থাকলেও কিছুটা ভালো খবর রয়েছে মুরগির বাজারে। গরিবের ‘গরুর মাংস’ ব্রয়লারের দাম কমেছে ১০ টাকা করে। চট্টগ্রামের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ১৯০ টাকা।

রিয়াজুদ্দিন বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী কাশেম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই দিন আগেও ব্রয়লার বিক্রি করেছি ২০০ টাকা কেজিতে। আজকে বিক্রি করছি ১৯০ টাকা করে। এর বেশি দাম কমার সম্ভাবনা নেই। তবে মুরগির দাম বাড়িয়েছে খামার মালিকরা।

রিয়াজুদ্দিন বাজারে কথা হয় ক্রেতা আব্দুস সালামের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রিয়াজুদ্দিন বাজারে এক ডজন ডিমের দাম ১৫০ টাকা। কিন্তু পাড়ার দোকানে ১৭০ টাকা করে নিচ্ছে।

বাজারে আসা খাইরুল ইসলাম বলেন, দাম না কমা পর্যন্ত ডিম না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এদিকে মুরগীর দামও বাড়তি। আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের বাঁচা কঠিন হয়ে গেছে।

কেএম/এমএইচএস