আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যালোচনা সভা

বছরের পর বছর লোকসানে থাকা দেশের চিনিকলগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে বেভারেজ পণ্য উৎপাদন করা হবে। এরইমধ্যে শ্রীলংকা ও ডেনমার্কের দু’টি কোম্পানি বাংলাদেশের চিনিকলে বেভারেজ পণ্য উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।  

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ চিনিকলগুলোর কার্যক্রম বাড়াতে সরকার চিনিকলের সহায়ক শিল্প হিসেবে বেভারেজ পণ্য উৎপাদনে ‘বাংলাদেশ বেভারেজ প্রজেক্ট’র অগ্রগতি নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন শিল্পসচিব কে এম আলী আজম।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশের চিনিকলগুলোতে উৎপাদিত পণ্যে বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে চিনিকলের সহায়ক শিল্প হিসেবে বেভারেজ পণ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। সারা বছর যাতে চিনিকলগুলো চলমান থাকতে পারে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ প্রকল্প সহায়তা করবে। চিনিকলগুলোর উৎপাদিত উপজাত থেকে বেভারেজ পণ্য উৎপাদিত হবে।

বেভারেজ পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্থানীয় কাঁচামাল দিয়ে এসব পণ্য উৎপাদন হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় খুব শিগগিরই শ্রীলংকা ও ডেনমার্কের দু’টি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

শ্রীলংকা ও ডেনমার্কের দু’টি কোম্পানি বাংলাদেশে বেভারেজ পণ্য উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করায় এই আন্তঃমন্ত্রণালয় অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা হয়। যেখানে ভার্চুয়ালি শ্রীলংকার লায়ন ব্রিওয়েরি (সিলন) পিএলসি কোম্পানির সিইও বোব কুনডানমাল এবং ডেনমার্কের কোম্পানির পরিচালক পিটার স্টেনবার্গ অংশ নেন বলে শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়।

সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশন) এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের  (বিএসএফআইসি) চেয়ারম্যান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকল রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া মিলগুলো হলো- শ্যামপুর, পাবনা, রংপুর, পঞ্চগড়, কুষ্টিয়া ও সেতাবগঞ্জ চিনিকল।

এসআই/জেডএস