কুরিয়ার সার্ভিস ও লজিস্টিকসকে সেবা খাতের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন এ খা‌তের উদ্যোক্তারা। একই স‌ঙ্গে সরকারের প্রস্তাবিত মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০২২ কে ব্যবসাবান্ধব করার প্রস্তাব দি‌য়ে‌ছেন কুরিয়ার সার্ভিস ও লজিস্টিকস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মা‌লিকরা।

শনিবার (২০ আগস্ট) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত লজিস্টিকস অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় এসব দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে কুরিয়ার ও লজিস্টিকসকে সেবা খাতের শিল্প হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানান বক্তারা।

বৈঠকে উদ্যোক্তারা প্রস্তাবিত মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০২২ আইনের খসড়ার বেশকিছু অসামঞ্জস্য তুলে ধরেন। তারা বলেন, খসড়া আইনের মাধ্যমে কুরিয়ার ও লজিস্টিক খাতের বিকাশ নয় বরং নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, লজিস্টিকস শিল্পের উন্নয়নের জন্য ২০ বছর মেয়াদি রোডম্যাপ প্রণয়নে কাজ করছে এফবিসিসিআই। লজিস্টিকস বিশাল একটি সম্ভাবনাময় খাত। বাংলাদেশের আগামী দিনের অর্থনীতির সম্প্রসারণ লজিস্টিক খাতের উন্নয়নের ওপর নির্ভর করবে। কেননা পণ্য উৎপাদন খরচ, বিপণন এমনকি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে টেকসই সাপ্লাই চেইন প্রতিষ্ঠায় কার্যকর লজিস্টিকস সেবা অপরিহার্য।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মো. নাসের জানান, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সরকারের নতুন আইনের খসড়ার ওপর শিগগিরই সুপারিশমালা তৈরি করা হবে।

কমিটির চেয়ারম্যান ও কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হাফিজুর রহমান পুলক বলেন, সরকারের নীতি ও আইনি সহায়তা পেলে দেশের কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিগুলো অর্থনীতিতে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারবে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির কো-চেয়ারম্যান আহসান হাবীব সেতু, আলহাজ্ব মকবুল আহমদ, নিসার উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

এসআই/এসকেডি