বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বই এখন চ্যালেঞ্জের মধ্যে। এ অবস্থায় ব্যাংক ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা উঠিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এখন সুদহারের এক অংকের (৯ শতাংশ) নির্দেশনা তুলে দিলে বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিঘ্নিত হবে সরবরাহ। তাই এ মুহূর্তে ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা উঠানোর কোনো সিদ্ধান্ত আসবে না।

শনিবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

গভর্নর বলেন, গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আমি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা জানার চেষ্টা করেছি। এখন যে সমস্যা (ডলার সংকট) দেশে বিরাজ করছে এটি বেশি দিন থাকবে না। সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। 

আরও পড়ুন : বাড়ছে রেমিট্যান্স, কমছে আমদানি; স্বস্তিতে ডলার

অনুষ্ঠানের অপর এক সেশনে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর্থিক খাত। ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তা না হলে ব্যাংক খাত আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের অংক দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। যা এযাবতকালের সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের অংক।

আরও পড়ুন : দুরবস্থায় ৯ ব্যাংক

এদিকে ঋণ ও বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুদের হারে সিঙ্গেল ডিজিট কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একমাত্র ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণ ও বিনিয়োগের ওপর সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। ব্যাংকগুলো প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে এর চেয়ে কম সুদও নির্ধারণ করতে পারবে। তবে কোনোক্রমেই ৯ শতাংশের বেশি সুদ নেওয়া যাবে না। নিয়মিত ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে অতিরিক্ত কোনো মুনাফা বা দণ্ড সুদও আরোপ করা যাবে না। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে আসছে ব্যাংকগুলো।

এসআই/এসকেডি