সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বাজুসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বরাবর প্রদান করা হয়েছে।

ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাজুস দেশের জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে। সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিরলস পরিশ্রমে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পের বাজার। এমন প্রেক্ষাপটে জুয়েলারি শিল্পে সোনা চোরাচালান বড় ধরনের সংকট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোরাচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না। চোরাচালানের ফলে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। আমরা ধারণা করছি, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে সারাদেশে জল, স্থল ও আকাশ পথে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশ আসছে। যা ৩৫৬ দিনে বা এক বছরে দাঁড়ায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা।

এ অবস্থায় চোরাচালান, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও জুয়েলারি শিল্পের চলমান সংকট মোকাবিলায় বাজুসের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।

পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, সোনা চোরাচালান, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে যৌথ মনিটরিং সেল গঠন ও চোরাকারবারিদের দমনে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে আরও কঠোর আইন প্রণয়ন করা। পাশাপাশি ব্যাগেজ রুলের আওতায় সোনার বার ও অলংকার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সংকট চোরাচালান ও মানিলন্ডারিংয়ে কী প্রভাব পড়ছে, তা নিরূপণে বাজুসকে যুক্ত করে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা করার কথা বলা হয় চিঠিতে।

এএসএস/ওএফ