ন্যায্যমূল্যে মানুষের হাতে সেরা পণ্যটি তুলে দেওয়া উদ্দেশ্য নিয়ে ৩ বছর আগে দেশি ক্রেতাদের জন্য প্রথম হোলসেল হাইপার মার্কেট হোলসেল ক্লাবের পথচলা শুরু হয়। যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনায় দেখতে দেখতে সাফল্যের সঙ্গে তিন বছর পর করেছে ক্লাবটি। এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি এক জমকালো উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যমুনা ফিউচার পার্কের সেন্টার কোর্টে এই আয়োজন করা হয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট-কসকো-স্যাম’স ক্লাবের আদলে হোলসেল ক্লাবটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানটি কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু করা হয়। পরে যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলাম বাবুলকে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা ও একটি তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সেখানে তার কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবনের তথ্য তুলে ধরা হয়।

যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ বলেন, আজ থেকে তিন বছর আগে এখানেই হোলসেল ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এই প্রতিষ্ঠান নিজের হাতে তৈরি করে যাত্রা শুরু করে দিয়েছিলেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রয়াত নুরুল ইসলাম। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। হোলসেল ক্লাবের উন্নতি কামনা করছি।

যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, হোলসেল ক্লাবের জন্য যে প্রতিশ্রুতি আমাদের চেয়ারম্যান দিয়ে গেছেন। বর্তমানে যিনি ক্লাবটি পরিচালনা করছেন সোনিয়া শাহরিয়াত, সেই প্রতিশ্রুতি পালন করে যাচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি গুণে, মানে ও সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশ তো বটেই দক্ষিণ এশিয়ার এ ধরনের যেকোনো মার্কেটের সঙ্গে হোলসেল ক্লাব প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাবে।

যমুনা গ্রুপের পরিচালক সোনিয়া শাহরিয়াত বলেন, আমার বাবা প্রয়াত নুরুল ইসলাম যখন হোলসেল ক্লাব চালু করেছিলেন তখন তার একমাত্র ও প্রধান উদ্দেশ্য ছিল- ন্যায্যমূল্যে মানুষের হাতে সেরা পণ্যটা তুলে দেওয়া। পণ্যের মানের কাছে তিনি কোনো আপস করতেন না। আমরা সেই ধারায় এগিয়ে চলেছি। বাবার স্বপ্ন পূরণের পথে হোলসেল ক্লাব এক লাখ ৫০ হাজার স্কয়ার ফিট থেকে এখন ২ লাখ স্কয়ার ফিটে উন্নীত হয়েছে।

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, হোলসেল ক্লাবের মতো চমৎকার একটি আইডিয়া যমুনা গ্রুপ মিডল ক্লাস মানুষের কাছে নিয়ে এসেছে। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলাম সাহেবকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তিনি এই হোলসেল ক্লাবটির যাত্রা শুরু করিয়েছিলেন। তারা বড় মেয়ে এটিকে দেড় লাখ থেকে ২ লাখ স্কয়ার ফিটে উন্নীত করেছেন। হোলসেল ক্লাব ৫৬ হাজার বর্গ মাইলে ছড়িয়ে যাক।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম বলেন, স্বপ্ন শুধু দেখা নয়, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ ছিলেন প্রয়াত নুরুল ইসলাম বাবুল। তাকে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। যমুনা ফিউচার পার্কের হোলসেল ক্লাবে যদি কেউ না আসেন, তাহলে বাংলাদেশ কতদূর এগিয়ে গিয়েছে তা অনেকে বুঝতে পারবেন না। বিশ্ব আজকে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। সেই রোল মডেলের একটি অংশ হোলসেল ক্লাব ও যমুনা গ্রুপ।

যমুনা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, আজ সেই মানুষটাকে সবচেয়ে বেশি স্মরণ করছি, তিনি হলেন যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলাম বাবুল। আজকের এতসব অর্জনের পেছনের মানুষটা তিনি। তিনি আমাদের সকল প্রেরণার উৎস। যমুনার সকল সাফল্যের মহানায়ক। সাফল্যের অগ্রযাত্রায় ছুটে চলা হোলসেল ক্লাবও বাবুল সাহেবের স্বপ্নের ফসল। তাই সবকিছুর আগে আমরা বাবুল সাহেবের রেখে যাওয়া গাইডলাইনগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চাই।

তিনি বলেন, তিনি যখন এই হোলসেল ক্লাব চালু করেছিলেন তখন তার একমাত্র ও প্রধান উদ্দেশ্য ছিল- ন্যায্যমূল্যে মানুষের হাতে সেরা পণ্যটা তুলে দেওয়া। পণ্যের মানের কাছে তিনি কোনো আপস করতেন না। এজন্য এখন পর্যন্ত হোলসেল ক্লাবের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- ভেজাল ও নকলমুক্ত অরিজিনাল পণ্য বিক্রি করা। পণ্য যদি বিদেশি হয় তাহলে একেবারে সরাসরি হোলসেল ক্লাব নিজেরা এলসি খুলে আমদানি করছে। আর যেসব পণ্য দেশের, সেগুলো একেবারে বাছাই করা গুণগত মানসম্পন্ন।

অনুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের অন্যান্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/ওএফ