সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের সংগঠন। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গত ১ নভেম্বরের ওই চিঠিতে বলা হয়, বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড তেলের দাম বৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান অবমূল্যায়নের কারণে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

প্রস্তাবে প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৯৩, পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯৫৫ এবং খোলা সয়াবিনের প্রতি লিটার ১৭৩ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। 

দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোজ্যতেলের প্রতিষ্ঠানগুলো একটা প্রস্তাব দিয়েছে। এখন আমরা ট্যারিফ কমিশনকে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করার জন্য দেব। তারা দেখবে আসলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে কি না। বাড়লেও কি পরিমাণ বেড়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর এলসির কাগজপত্র পর্যালোচনা করা হবে। ট্যারিফ কমিশন আমাদের যে প্রস্তাব দেবে, সেই আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায়।  

এর আগে গত ৩ অক্টোবর বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে ১৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৭ টাকা কমানো হয়। সেই দাম অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৫৮ টাকা লিটার এবং ৫ লিটারের বোতল ৮৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিয়ম অনুযায়ী ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে বা সমন্বয় করতে কোম্পানিগুলো ট্যারিফ কমিশনকে প্রস্তাব দেয়। এরপর কমিশন তা পর্যালোচনা করে। সে অনুযায়ী নির্ধারণ হয় তেলের মূল্য। দেশে মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, টি কে গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানির পর পরিশোধন করে বাজারে ছাড়ে। কেউ কেউ সয়াবিন বীজ আমদানি করে তেল উৎপাদন করে।

ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা আছে। এর মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ টন আমদানি হয়।      

এসআই/আরএইচ