কালো টাকা না কমলে অর্থ পাচার কমবে না রেমিট্যান্সও বাড়বে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। 

তিনি বলেন, অর্থ পাচার ও কালো টাকা না কমলে বৈধ পথে রেমিট্যান্সও বাড়বে না।

বুধবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিতর ‘বৈধ পথে রেমিট্যান্স চ্যালেঞ্জ ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ ও পলিসি এক্সচেঞ্জ-এর চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইস্কান্দার মিয়া, ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল মওলা প্রমুখ।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, করোনার পর বৈধ পথে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। সে সময় হুন্ডি পথে টাকা কমে এসেছে। কিন্তু এখন অবৈধ পথে বেশি রেমিট্যান্স আসছে।

তি‌নি ব‌লেন, বাংলাদেশে আইন আছে কিন্তু এর প্রয়োগ নেই। ব্যাংকে ডলারের দাম এক রকম আবার খোলা বাজারে আরেক রকম। এ পার্থক্য কমিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি। যদিও এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) কাজ করছে। 

বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের আরও দ্রুত কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা প্রতি মাসেই এক, দুই বিলিয়ন করে রিজার্ভ হারাচ্ছি। এর মানে মানে আমরা বাজারে ডলার ছাড়ছি। এতে রিজার্ভ কমছে। এখানে আমাদের সমন্বয়ের জন্য রপ্তানি বাড়াতে হবে এবং আমদানি নির্ভরতা থেকে সরে আসতে হবে। আমাদের দেখতে হবে কেন আমেরিকা থেকে বৈধ পথে বেশি রেমিট্যান্স আসছে, কেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে কম আসছে। লোকালি প্রবাসীদের কাছে যেতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে। মার্কেটগুলোতে আমাদের প্রচার করতে হবে যে আপনারা (প্রবাসী) শুধু আমাদের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠান। এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংক করতে পারে। শুধু ফর্মাল মার্কেট না কার্ব মার্কেটগুলোতেও কিছু ডলার দিতে হবে।

এমআই/এসকেডি