কূটকৌশলে বিভিন্ন গ্রাহকের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক দুই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন। বুধবার (৯ নভেম্বর) দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৯ মে বাকেরগঞ্জ থানায় পদ্মা ব্যাংকের অফিসার সুজন মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তী সময়ে তদন্তের জন্য যা দুদকের কাছে পাঠানো হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক) বরিশাল বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী শাখার বরখাস্ত হওয়া দুই ব্যবস্থাপক সৈয়দ মামুনুর রহমান ও জাকির হোসেন।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামি সৈয়দ মামুনুর রহমান শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক) কলসকাঠী শাখা কর্মরত ছিলেন। এ সময় পরিমল চন্দ্র কুন্ডু নামের এক গ্রাহকের ৩ বছর মেয়াদি ১ লাখ টাকার এফডিআর, মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ঋণের ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, তাপস দত্ত নামের অপর এক গ্রাহকের ২৭ হাজার ৫০০ টাকা, মেসার্স নিপা ব্রিকস নামের প্রতিষ্ঠানের ১৬ লাখ এবং আবু ছালেহর মালকানাধীন মেসার্স স্টার ব্রিকসের ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। বিভিন্ন কৌশলে সৈয়দ মামুনুর রহমান মোট ৩৪ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা টাকা আত্মসাত করেছেন।

অন্যদিকে এজাহারভুক্ত অপর আসামি জাকির হোসেন ওই একই শাখায় ব্যবস্থাপক (অপারেশন)ও শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ২০১৬ সালের ২ মে থেকে ২০১৯ সালের ২৮ মে পর্যন্ত প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ১৩ লাখ ৬২ হাজার ১০২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরএম/এসএম