তুলার মূল্য বেড়ে যাওয়া এবং যোগান কমে আসায় নন-কটন গার্মেন্টস পণ্যের দিকে ঝুঁকেছে বিশ্ব ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি। বিশ্ব বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, ম্যান-মেইড ফাইবারের চাহিদা বাড়ছে স্থানীয় তৈরি পোশাক শিল্পে। এমন তথ্য তুলে ধরে ঢাকায় সফররত ওয়েলসের ব্যবসায়ীদের বস্ত্র খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) অল ওয়েলস ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড এডুকেশন মিশন, ইউকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮৩ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে রপ্তানি পণ্যের সিংহভাগ ভ্যালু অ্যাডিশন হতে হবে দেশেই। এক্ষেত্রে বস্ত্র শিল্প, বিশেষ করে ম্যান-মেড-ফাইবার অন্যতম একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ খাত হবে।’

পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সিরামিক, আসবাবপত্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথাও জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। এসব খাতে ওয়েলসের ব্যবসায়ীদের একক কিংবা যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। আশ্বাস দেন বিনিয়োগে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা দেওয়ার।

বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ওয়েলসের আগ্রহের কথা জানান প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং চেম্বার ওয়েলসের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান মি. পল স্লেভিন। তিনি বলেন, বাণিজ্য, শিক্ষা এবং সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রেই পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে ওয়েলস এবং বাংলাদেশের। সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বেসরকারি খাতকে অংশীজন করতে উভয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইনস্টিটিউটগুলোর সঙ্গে ওয়েলসের ইনস্টিটিউটগুলোর কারিগরি সহযোগিতার সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক প্রমুখ।

এসআই/জেডএস