নারী হিসেবে নয়, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হবে। অন্য ব্যবসায়ীদের মতো নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হবে। উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। সহযোগিতা নয়, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে…
 
সেলিমা আহমাদ, দেশে নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রায় ৩৫ বছর ধরে ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষেই কর্মজীবনের সূচনা। চার বন্ধুকে নিয়ে গড়ে তোলেন কনসালটেন্সি ফার্ম (পরামর্শ প্রতিষ্ঠান)। 

বর্তমানে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও জনতা ব্যাংকে।

ব্যবসায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে প্রথম কোনো এশিয়ান নারী এবং দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ‘অসলো বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ড’ পান সেলিমা আহমাদ। বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর ফিন্যান্স ইনিশিয়েটিভের (উই-ফাই) জন্য সম্মানিত ‘লিডারশিপ চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে মনোনীত হন।

কুমিল্লা-২ আসন থেকে নির্বাচিত এ সংসদ সদস্য নারীর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার নানা প্রতিবন্ধকতা, ব্যবসায়ে সফলতাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন ঢাকা পোস্টের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শফিকুল ইসলাম

ঢাকা পোস্ট : সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কি পাল্টেছে?

সেলিমা আহমাদ : নারীরা এখন সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে আগে তেমন নারী সচিব ছিলেন না। এই সরকারের আমলে এটি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সংসদ সদস্য, বিরোধীদলীয় নেতাসহ সবক্ষেত্রেই এখন নারীদের অংশগ্রহণ দৃশ্যমান। যদি সমতার জায়গায় আসি, তাহলে সার্বিক ক্ষেত্রে নারীরা অনেক পিছিয়ে আছে।

এখনও আমরা সমাজে নারীকে মানুষ হিসেবে গণ্য করি না। মনে করি, নারী একটি দুর্বল গোষ্ঠী

সেলিমা আহমাদ, ভাইস চেয়ারম্যান, নিটল-নিলয় গ্রুপ

এর মূল কারণ, আমাদের মন ও মানসিকতার চেঞ্জ (পরিবর্তন) হয়নি। এখনও আমরা সমাজে নারীকে মানুষ হিসেবে গণ্য করি না। মনে করি, নারী একটি দুর্বল গোষ্ঠী। তাদের আমরা সমান অধিকার দিই না। ঘরেও দিই না। নারীরা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে বলেই রাষ্ট্র সমান অধিকার দেওয়ার কথা বলেছে।

ঢাকা পোস্ট : নারীর অগ্রযাত্রায় প্রথম উৎসাহ কোথা থেকে আসা উচিত...

সেলিমা আহমাদ : সহযোগিতা প্রথম আসতে হবে পরিবার থেকে। এরপর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও নারীর সমতার জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। নারীকে সমান চোখে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে কিশোর-বালিকা দুজনকেই সচেতনতার বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। তাদেরকে বলতে হবে, নারী-পুরুষ সমান। ভাই-বোনকে সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে। বাবা-মাকে ছেলে-মেয়ের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা পোস্ট : নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিবন্ধকতাগুলো কী কী?

সেলিমা আহমাদ : ব্যবসার শুরু থেকেই উৎপাদন, বিক্রিসহ অনেক ক্ষেত্রে নারীদের বাধার মুখে পড়তে হয়। একটি ব্যবসা শুরু করতে গেলে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এরপর ব্যবসা বা পণ্য উৎপাদন করতে হলে প্রয়োজন অর্থের। এজন্য দরকার হয় ব্যাংক ঋণ। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে নারী উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন না। কারণ তাদের ঋণের বিপরীতে জামানত রাখার মতো সম্পদ থাকে না। এক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে নিতে হলে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন। ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।

কুমিল্লা-২ আসনের এমপি ও নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা আহমাদ
কিশোর-বালিকা দুজনকেই সচেতনতার বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। তাদেরকে বলতে হবে, নারী-পুরুষ সমান। ভাই-বোনকে সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে। বাবা-মাকে ছেলে-মেয়ের সমতা নিশ্চিত করতে হবে

সেলিমা আহমাদ, ভাইস চেয়ারম্যান, নিটল-নিলয় গ্রুপ

ঢাকা পোস্ট : নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে, কীভাবে সম্ভব হচ্ছে?

সেলিমা আহমাদ : প্রধানমন্ত্রী যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন, ওই সময়ে বিষয়টি অনেকে ভালো চোখে দেখেননি। কিন্তু করোনা মহামারির সময় আমরা এর সুফল শতভাগ ভোগ করেছি। এখন আমাদের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হয়েছে। এ সুবাদে নারীরা ঘরে বসেই উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ী হচ্ছেন। মহামারির সময় যখন শোরুম, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, তখন নারীরা চুপ করে বসে ছিলেন না। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ই-কমার্সের মাধ্যমে তারা ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন। ঘরে বসেই নানা রকম পণ্য বিক্রি করেছেন দেশ-বিদেশে। এটা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কারণে।

নারীদের সংসারে অনেক কাজ থাকে। এটি সামলে তারা অনলাইনের সুবাদে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সুযোগটা নারীরা কাজে লাগিয়েছেন। ই-কমার্সে এখন বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দেশের নারীরা। নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছেন। এটাই প্রমাণ করে, সুযোগ পেলে নারীরা সামনে এগিয়ে যাবে।

নারীদের ঋণের বিপরীতে জামানত রাখার মতো তেমন সম্পদ থাকে না। এক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে নিতে হলে সরকারের নীতি সহায়তা লাগবে। ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে

সেলিমা আহমাদ, ভাইস চেয়ারম্যান, নিটল-নিলয় গ্রুপ

ঢাকা পোস্ট : দেশের নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে আপনি অন্যতম। বাধা পেরিয়ে সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটা যদি বলতেন...

সেলিমা আহমাদ : সব সফলতার পেছনে পরিশ্রম থাকে। সফল হওয়ার প্রথম শর্ত হলো- একটি স্বপ্ন থাকতে হবে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। লক্ষ্য অর্জনে কৌশলী হতে হয়। পরিস্থিতি বুঝে কৌশল বদলাতে হয়। এক বছর আগে আমরা যে কৌশলে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছি, করোনা তা পরিবর্তন করে দিয়েছে। এভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঝড় ও প্রতিবন্ধকতা আসবে, সময়-সুযোগ বুঝে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। সফলতার পেছনে বিভিন্ন বাধা এসেছে। সবসময়ই নতুন কৌশলের মাধ্যমে সেই বাধা মোকাবিলা করেছি।

গ্রামে নারী-শিশুদের সঙ্গে সেলিমা আহমাদ

হিমালয়ের চূড়ায় উঠতে গেলে যেমন অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়, একইভাবে বিভিন্ন প্রস্তুতি ও ক্ষমতা থাকতে হয়। লক্ষ্য ও জ্ঞান অর্জনে দক্ষ হতে হয়। আমার জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কাজ করার আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়েছি, জেনেছি এবং প্রস্তুতি নিয়ে সামনে এগিয়েছি। যেসব বিষয়ে আমি বুঝি না অথবা জানি না, ওইসব বিষয়ে যারা পারদর্শী তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ নিয়েছি, এরপর কাজ শুরু করেছি। সফল হয়েছি।

মহামারির সময় যখন শোরুম, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় তখন নারীরা চুপ করে বসে ছিল না

সেলিমা আহমাদ, ভাইস চেয়ারম্যান, নিটল-নিলয় গ্রুপ

নারীকে সবসময় আত্মমর্যাদার মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সফল হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এজন্য নারীকে নিজেরই ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তখন সহযোগিতা এমনিই এসে যাবে। তাই প্রথমে নিজের মনোবল শক্ত করতে হবে।

ঢাকা পোস্ট : বর্তমান পরিস্থিতিতে সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে আপনার পরামর্শ কী?

সেলিমা আহমাদ : প্রথমেই পরামর্শ করে নারীকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যে ব্যবসায়ই করুক না কেন, সেই সম্পর্কে জানতে হবে। হিসাব বুঝতে হবে, বাজারজাতকরণের কৌশল জানতে হবে, একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা থাকতে হবে। আমি নারী, আমাকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকার আমাকে সহযোগিতা করবে, ব্যাংক আমাকে টাকা দেবে, মানুষজন আমার পণ্য কিনবে—এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

নারী হিসেবে নয়, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হবে। অন্য ব্যবসায়ীদের মতো নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হবে। উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। সহযোগিতা নয়, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। তাহলেই সফল হওয়া যাবে।

সফলতার পেছনে বিভিন্ন বাধা এসেছে। সবসময়ই নতুন কৌশলের মাধ্যমে সেই বাধা মোকাবিলা করেছি। সফল হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এজন্য নারীকে নিজেরই ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তখন সহযোগিতা এমনিতেই এসে যাবে। তাই প্রথমে নিজের মনোবল শক্ত করতে হবে

সেলিমা আহমাদ, ভাইস চেয়ারম্যান, নিটল-নিলয় গ্রুপ

ঢাকা পোস্ট : ব্যবসা ও রাজনীতি দুদিক থেকেই সমানতালে এগিয়েছেন, এক্ষেত্রে সহযোগিতা পেয়েছেন কার?

সেলিমা আহমাদ : ব্যবসার ক্ষেত্রে যদি বলতে হয়, তাহলে প্রথমেই আমার পরিবার। স্বামী সবচেয়ে বেশি সাহস জুগিয়ে সহযোগিতা করেছে। এরপর আমার দুই ছেলে নিটল ও নিলয়। তারা অনেক কাজে আমাকে সহযোগিতা করেছে।

রাজনীতিতে সফল হয়েছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদে। কারণ তিনি আমাকে বিশ্বাস করেছেন বলেই সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি এমপি নির্বাচিত হয়েছি।

ঢাকা পোস্ট : নারী উদ্যোক্তাদের জন্য উইমেন চেম্বার প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এ সফলতা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

সেলিমা আহমাদ : আমি ব্যবসার অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছি। সংসদ সদস্য হয়েছি। তবে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি পেয়েছি উইমেন চেম্বার করে। জীবনে আমি কী করলাম? এই প্রশ্নের উত্তর যখন খুঁজি তখন সবচেয়ে তৃপ্তি, আনন্দ ও গর্বিত হওয়ার জায়গা হচ্ছে আমার ‘বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার’। যখন এটি প্রতিষ্ঠা করি, তখন কোনো আইন ছিল না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে। শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই টিটকারি-মশকরা সইতে হয়েছে। এতকিছুর পরও এটি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। মনে তৃপ্তি লাগে। এখন শুধু বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার নয়, তৈরি হয়েছে ঢাকা উইমেন চেম্বার ও চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার।

আমি নারী, আমাকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকার আমাকে সহযোগিতা করবে, ব্যাংক আমাকে টাকা দেবে, মানুষজন আমার পণ্য কিনবে—এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

সেলিমা আহমাদ, ভাইস চেয়ারম্যান, নিটল-নিলয় গ্রুপ

আগে যেসব নারী উদ্যোক্তাকে আমি দেখেছি, তারা এখন প্রতিষ্ঠিত। ২০ বছর আগের নারীরা এখন পারিবারিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিকভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত। এটি দেখে মনে তৃপ্তি লাগে। এখন মনে হয়, মরে গেলেও শান্তি পাব। শুধু বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় এর প্রভাব পড়েছে। সার্কের দেশগুলো আমাদের এই সংগঠনকে অনুকরণ ও অনুসরণ করছে।

ঢাকা পোস্ট : শৈশবে কী স্বপ্ন দেখেছিলেন?

সেলিমা আহমাদ : শৈশবে কখনও ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা করিনি। রঙ-তুলিতে আঁকা ছবি খুব ভালো লাগত। তাই শিল্পী হওয়ার ইচ্ছা ছিল। এরপর ইচ্ছা হতো ব্যাংকার হব, সাংবাদিক হব। যা ইচ্ছা ছিল না, তা-ই হয়ে গেছি।

ব্যবসায়ী হয়েছি, এটা জীবনের তাগিদেই হয়েছে। একজন নারী ও মা হিসেবে ৯টা-৫টা পর্যন্ত কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আমি সবসময় পছন্দ করতাম। সে হিসেবেই ব্যবসা বেছে নিয়েছি। এখানে নিজের মতো জীবনটাকে সাজিয়ে নিয়েছি।

এসআই/এফআর/এমএআর/এমএমজে