ব্যাংক ঋণের সুদহার ৯ ও ৬ শতাংশের পরিবর্তে ৯ এবং ১২ শতাংশ পর্যন্ত করা যেতে পারে বলে মনে করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘পোস্ট কোভিড ইন এন ইউক্রেন এন্ড ডিভিসিভ ওয়ার্ল্ড’। সম্মেলনের প্রথম দিন প্রায় ৯টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।

উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড.বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইর ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ।

দ্বিতীয় অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড.ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। এ সময় সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হবে। কিন্তু এটা অতি সংরক্ষণশীল তথ্য। বুঝতে পারছি না আইএমএফের পূর্বাভাসকে কেন প্রবন্ধে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের চার মাসে অর্থনৈতিক সূচকগুলো ভালো অবস্থানে আছে। তাই এ বছর ৭ শতাংশের উপর অবশ্যই জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে।

তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদ হার ৯ ও ৬ শতাংশের পরিবর্তে ৯ এবং ১২ শতাংশ পর্যন্ত করা যেতে পারে। এটা ভেবে দেখতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়াও কর কমিশন গঠন না করে রাজস্ব বোর্ডকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে আলাদা করে স্বাধীন করা যায় কিনা সেটিও ভাবতে হবে। নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন নেই।

অর্থনৈতিক সূচকগুলোর অবস্থা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৪ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ দশমিক ১৯৮ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছর একই সময় ছিল ৭ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া রপ্তানি ১৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, গত অর্থ অর্থবছর ছিল ১৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আমদানি হয়েছে ২০ দশমিক  ৯০ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছর ৪ মাসে ছিল ১৮ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৪৫৭ মিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছর ছিল ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার। দেখা যাচ্ছে. প্রধান সূচক গুলোতে ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতায় আছে।

এসআর/এসকেডি