বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি-রফতানি বাড়া‌তে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন মিটিংয়ের আহবান জানান বাংলাদেশ নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনের উরেয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি বাড়া‌নো ও শিল্প কারখানা সম্প্রসারণে এই যৌথ কমিশন মিটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  

 সোমবার (৮ মার্চ) শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের স‌ঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত এ কথা জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাত হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, মন্ত্রীর একান্ত সচিব ও কসোভোর রাষ্ট্রদূতের একান্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ থেকে ফুড প্রসেসিং, চামড়াজাত পণ্য, কৃষি উৎপাদিত পণ্য ও উৎপাদিত কাঁচামাল রফতানির আহবান জানান শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন, যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন মিটিংয়ের আগে উভয় দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা‌দের স‌ঙ্গে আলোচনা ও সফরের প্রয়োজন। এ সফরের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প সম্প্রসারণে উভয় দেশে যেসব সম্ভাবনা রয়েছে তা জানা যাবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, কসোভোর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি-রফতানি সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশ আন্তরিক। তিনি অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সুনির্দিষ্ট  প্রস্তাব পেলে বাংলাদেশ তা যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। 

তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক (আরএমজি) ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য বাংলাদেশ থেকে কসোভোয় রফতানি হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সে দেশের সরকারকে আহবান জানান।

সাক্ষাতকালে কসোভোর রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতা রজতজয়ন্তী উদযাপনে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানায়। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ ও কসোভোর শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশিদের প্রশংসা করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত শিল্পমন্ত্রীকে কসোভো সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এসআই/ওএফ