গ্রিন এবং সার্কুলার ইকোনমি খাতে আফ্রিকান দেশ গ্যাবনের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ। গ্যাবন সরকার আয়োজিত ‘গ্যাবনে বিনিয়োগ-জলবায়ু ও টেকসই অর্থায়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে এ কথা জানান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

যুক্তরাজ্যে চলমান কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলনে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে গ্যাবন সরকার।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সার্কুলার ইকোনমি এবং গ্রিন ইকোনমি, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বন্দর উন্নয়ন, অটোমেশন, বহুমুখী পরিবহন ব্যবস্থা এবং ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন জলবায়ু এবং টেকসই অর্থায়ন অর্জনে ভূমিকা রাখবে। সম্পদের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধিতে গ্যাবনের সহযোগী হিসেবে কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বৈঠকে জসিম উদ্দিন বলেন, বিশ্ব আজ জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্যগত ঝুঁকি এবং চরম দারিদ্র্যতার মতো একটি ত্রিমুখী সংকটের মুখোমুখি। এমতাবস্থায় সমাজ, অর্থনীতি এবং ইকোসিস্টেমকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য পরবর্তী দশ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, নতুন ও উদ্ভাবনী কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

এসময় তিনি রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ১০০ বছরের ডেল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে পৌঁছাতে বাংলাদেশে আরও বেশি স্থানীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ এবং তথ্য বিশ্লেষণ ভিত্তিক উৎপাদন পদ্ধতিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সবুজ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে উদ্ভাবনী নীতি-কৌশল হাতে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এসআই/জেডএস