যারা নিয়মিত ভ্যাট দিচ্ছে তাদের হয়রানি না করে নতুন নতুন ক্ষেত্র শনাক্ত করার প্রতি জোর দিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর অভিজাত হোটেলে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারীদের পুরস্কার ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, এখনও যাদের মূসক জালের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি তাদের মূসকের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যারা নিয়মিত ভ্যাট দিচ্ছে তাদের হয়রানি না করে নতুন নতুন ভ্যাট-ক্ষেত্র শনাক্ত করে রাজস্বের আওতায় আনা জরুরি। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈষম্য দূর হবে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে খাতা-পত্র আটক করা, হয়রানি করা, নোটিশ দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির যে অভিযোগ পাওয়া যায় তা স্থিতিশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সহায়ক নয়। তবে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে রাজস্ব ফাঁকি দেয় আমরা তাদের পক্ষে নই।

তিনি বলেন, এনবিআর মেইড ইন বাংলাদেশের যে লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে তা যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে ব্যাক ওয়ার্ড ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। এর পাশাপাশি অটোমেশনটা জরুরি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে সোর্স ট্যাক্স বা উৎসে কর। রাজস্ব সংগ্রহের অন্যতম উৎসে কর কিন্তু পরবর্তীতে যা সমন্বয় করা হয় না। এ বিষয়টি এনবিআরের ভেবে দেখা উচিত।

‘উন্নয়নের ভ্যাট নীতি, ভ্যাট দিয়ে গড়ব জাতি’ স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহর ও কমিশনারেট কার্যালয়ে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপন হচ্ছে। একইসঙ্গে ১০-১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপনের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এ বছর ১০ ডিসেম্বর সপ্তম বারের মতো দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। এর আগে, প্রতি বছর ১০ জুলাই জাতীয় ভ্যাট দিবস পালিত হতো। বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে মূসক প্রবর্তিত হওয়ার পর এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ২০১১ সাল থেকে দিবস ও সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে।

ভ্যাট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রচার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেশের সব মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে গ্রাহকদের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হচ্ছে। রেডিও, টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারণার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

আরএম/এসএসএইচ/