প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, আইএমএফের ঋণ চারিত্রিক সনদের মতো। এ সনদ পেলে সবাই আমাদের ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রাঙ্গুলার কো-অপারেশন : ট্যাপিং নিউ অপরচুনেটিস শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ইউএনডিপি।

ইআরডির সচিব শরিফা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর গুয়েন লুইস এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের সিইও অ্যান্ড চেয়ারম্যান এম.মাশরুর রিয়াজ এবং রিসার্স অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক। সেমিনারে বক্তব্য দেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ফয়জুল ইসলাম, ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকনোমিস্ট ড. নাজনিন আহমেদ প্রমুখ।

উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, আগে যেমন কোনো গেজেটেড কর্মকর্তার কাছ থেকে চারিত্রিক সনদ নিতে হতো। না চিনলেও তিনি বলে দিতেন তার চরিত্র ভালো। সে রকম আইএমএফ বাজেট সহায়তা হিসেবে ঋণ দিলে সেটি কোনো দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হওয়া বোঝায়। এটি হলে অন্য দেশ বা সংস্থা ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করবে সহজেই। সেই সঙ্গে বিনিয়োগও আসবে।

তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত। বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হয়েছে আন্তর্জাতিক কারণে। করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ চেইন ব্যাহত হয়েছিল। তবে এখন অনেক পণ্যের দাম কমেছে। সংকট আর গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। শিগগিরই কেটে যাবে। দক্ষিণে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বিনিময় মুদ্রা। একক কোন মুদ্রা থাকলে ভালো হতো।

মূল প্রবন্ধে এম. মাশরুর রিয়াজ বলেন, নলেজ শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ সহযোগিতার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প সমস্যায় পড়বে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

এম এ রাজ্জাক বলেন, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নলেজ শেয়ারিংয়ের অভাব, আমদানি-রপ্তানির মধ্যে সামঞ্জ্যহীনতা, রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ না হওয়া, কানেক্টিভটি জোরদারকরণ, এলডিসি উত্তরণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা ইত্যাদি।  

এসআর/এসকেডি