ফাইল ছবি

লিড গ্রিন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিস অব বাংলাদেশ বা সবুজ কারখানার স্বীকৃতি সনদ পেল তৈরি পোশাক খাতের কোম্পানি ভিক্টোরিয়া ইন্টিমেটস লিমিটেড ও ড্রেসডেন টেক্সটাইল লিমিটেড। প্রতিষ্ঠান দুটি তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্য। এর ফলে বাংলাদেশে লিড গ্রিন সনদ প্রাপ্ত পোশাক কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৮০টিতে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, নতুন আরও দুটি কারখানা গ্রিন সার্টিফাইড হয়েছে। এ নিয়ে গ্রিন সার্টিফাইড কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮০টিতে।

তিনি বলেন, এ বছর আমাদের সর্বোচ্চ ১৩টি প্লাটিনাম সার্টিফাইড ফ্যাক্টরি হয়েছে। পাশাপাশি গোল্ড সিলভার এবং সার্টিফাইড মিলে এ বছর ২৮টি প্রতিষ্ঠান সবুজ কারখানার সনদ পেয়েছে। আরও ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন সার্টিফাইডের তালিকা আসার অপেক্ষায় রয়েছে।

কোম্পানি দুটির মধ্যে গোল্ড লিড সার্টিফাইড গ্রিন গার্মেন্টস অব বাংলাদেশ সনদ পাওয়া ভিক্টোরিয়া ইন্টিমেটস লিমিটেডের যাত্রা শুরু করে ২০১৯ সালে। দক্ষিণ ভাংগনাটি, বৈরাগিরচালা, শ্রীপুর, গাজীপুরের অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি ৬২ পয়েন্ট পেয়ে ১২ ডিসেম্বর সনদ পেয়েছে।

আর ড্রেসডেন টেক্সটাইল লিমিটেড ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি গত ১৩ ডিসেম্বর ৬৮ পয়েন্ট পেয়ে গোল্ড সার্টিফাইড সনদ পেয়েছে।

তার আগের মাস নভেম্বরে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) ও বর্ণালী কালেকশনস লিমিটেড লিড গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেয়েছে।

পোশাক কারখানায় সবুজ সংকেতের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়। বাংলাদেশের ৫৮টি পোশাক কারখানা প্লাটিনাম রেটিং, ১০৮টি গোল্ড রেটিং ও ১০টি সিলভার রেটিং পেয়েছে। এছাড়া চারটি কারখানা কোনো রেটিং পায়নি, তবে সনদ পেয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এক বছরে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের প্লাটিনাম সবুজ কারখানার স্বীকৃতি আমাদের জন্য বড় পাওয়া। অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বৈশ্বিক বাজারে যখন বাংলাদেশি পোশাকের অর্ডার কমে যাচ্ছে, তখন এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের মনোবল বৃদ্ধি করে।

তিনি দাবি করেন, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব টেকসই কারখানা তৈরির জন্য যা যা করণীয় অনেক দিন ধরে আমরা সেটি করে আসছি। এর ফলে বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বাড়ছে এবং তারাও আমাদের সহযোগিতা করছে।

এমআই/এসএসএইচ/