বিদ্যমান করপোরেট করহার বিদেশি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করছে বলে দাবি করেছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির সংগঠনের পক্ষে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। এসময় সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, বর্তমানে করপোরেট করহার ৩২.৫ শতাংশ। ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে বর্তমান হার নির্ধারণ করা হয়েছে। সেজন্য আমরা এনবিআরের প্রশংসা করছি। এখানে একটি বিষয়ে চেয়ারম্যান মহোদয়সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমাদের দেশে কার্যকরী করপোরেট করহার আরও অনেক বেশি। আমাদের আমদানিতে কর দিতে হয়। মধ্যবর্তী বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কর দিতে হয় এবং সর্বোপরি ফিনিশড প্রোডাক্টেও কর দিতে হয়। 

তিনি আরও বলেন, সব কিছু হিসাব করলে দেখা যায় এই করহার ৩২.৫ শতাংশ আর থাকে না, ক্ষেত্র বিশেষে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ হয়ে যায়। বিষয়টি আমাদের ব্যবসাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং বৈদেশিক বিনিয়োগকে নিরুত্সাহিত করছে। সুতরাং এই বিষয়টির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

ভূমি রেজিস্ট্রেশন প্রসঙ্গে নিহাদ কবির বলেন, ভূমি (স্থাবর সম্পত্তি) রেজিস্ট্রেশন ফিস এলাকাভিত্তিক নির্দিষ্ট হারে নির্ধারণ করা থাকে, যা আসলে প্রকৃত বাজারমূল্যের থেকে অনেক কম। সেক্ষেত্রে যিনি ভূমি বিক্রি করছেন তার বৈধ উপার্জনের কিছু অংশ অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ তাকে বাজারমূল্যের চেয়ে কম হারে নির্ধারিত হার অনুযায়ী দেখাতে হচ্ছে।

এক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাবনা হলো- এনবিআর অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে যদি রেজিস্ট্রেশন ফি’র হার কমানো যায়, তাহলে দেখা যাবে রাজস্ব আহরণে কোনো ঘাটতি হবে না। এতে করে বৈধ টাকা অর্থনীতিতে থাকবে। সেই সঙ্গে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ হবে।

অনুষ্ঠানে এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন ও সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, ভ্যাট নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

আরএম/এসএসএইচ