বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ই-ভিসা এবং অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালুসহ পর্যটকদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) এফবিসিসিআই’র ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট (ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড, ডোমেস্টিক অ্যান্ড সিভিল এভিয়েশন) বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চতুর্থ সভায় ব্যবসায়ীরা এই দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় একটি খাত। কিছুদিন আগে এইচএসবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে, দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে পর্যটন শিল্পও আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

প্রধানমন্ত্রী পর্যটন খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, কক্সবাজারের পর্যটনকে কেন্দ্র করে নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনা এনে দিয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পর্যটক সংখ্যাও ব্যাপক বেড়েছে।

তিনি আরও জানান, এফবিসিসিআই'র ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলতি বছরের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিতব্য তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের প্রদর্শনীতে অনেকগুলো খাত প্রাধান্য পাবে, তার মধ্যে একটি পর্যটন।

সামিটে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা তুলে ধরতে একটি বিশেষ স্টল করার কথাও জানান তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে সামিটে টুরিজমের উপর একটি প্ল্যানারি সেশন থাকবে বলেও জানান তিনি।

এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন খাতে বিদেশিদের আকৃষ্টকরণ ছাড়াও দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্যও এটি একটি বড় বাজার। সম্ভাবনাময় এ খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ সরকারি-বেসরকারি সবার অংশগ্রহণ জরুরি।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই’র পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব সানজিদা শারমিন, স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তৌফিক উদ্দিন আহমেদ, কো-চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরায়েশী, মওলানা ইয়াকুব শারাফাতী, সৈয়দ গোলাম কাদির প্রমুখ।

এসআই/এমজে