আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসর চলছে। এবারের মেলায় অন্য যেকোনো পণ্যের চেয়ে কাশ্মিরি শালের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, কাশ্মিরি শালের প্রতি আগ্রহ থাকলেও আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, অতিরিক্ত দামের কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

মেলার এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে থাকা স্টলগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

মোকাদ্দেয়া বস্ত্র বিতানের মালিক রাসেল শেখের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিক্রির রেসপন্স ভালো না। ক্রেতাদের বারবার পণ্য দেখাচ্ছি, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই এবারের মেলায় কাশ্মিরি শালের প্রতি আগ্রহ বেশি। আগ্রহ থাকলেও এখন পর্যন্ত বিক্রির অবস্থা খুবই নাজুক। তবে আশা করছি ছুটির দিনে বিক্রি বাড়বে। আমাদের স্টলে ১৫শ থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা মধ্যে শাল রয়েছে। এ বছর নতুন কিছু কালেকশন আছে। 

সারা কাশ্মিরি শাল নামক স্টলের বিক্রেতা হাফিজুর রহমান অসীম বলেন, মেলা মাত্র শুরু হয়েছে। তাই অনেকে পণ্য দেখেই চলে যাচ্ছেন। পুরোদমে বিক্রি শুরু হতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। 

টেনশন ফ্রি শপ নামে আরেক স্টলের বিক্রেতা সাকিব বলেন, আমাদের স্টলে এক হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দামের শাল পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনো বিক্রির অবস্থা ভালো নয়। ক্রেতাদের আগ্রহ থাকলেও বিক্রি নেই বললেই চলে। প্রতিবছর মেলার প্রথম দিকে বিক্রি কমই হয়।  

রাজধানীর উত্তরা থেকে আসা সুমাইয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে এসেছি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আবার আসব। তবে যেকোনো সময়ের চেয়ে এ বছর শালের দাম অনেক। পছন্দ হলেও বাজেট নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।

এ বছর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে খোলা থাকবে এক ঘণ্টা বেশি। এবার প্রবেশ টিকিটের মূল্য ৪০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা। অনলাইনেও মেলার টিকিট পাওয়া যাবে। বিকাশের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ছাড়ে টিকিট কেনা যাবে। ২০২৩ সালের বর্ষপণ্য বা ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে পাটকে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এমএম/ওএফ