সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগের একদিন পর আবারও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে সম্মত হয়েছেন সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক। তিনি বলেন, বর্তমান কমিটি এবং আমরা দুটি দলই নির্বাচন পরিচালনার জন্য তাকে অনুরোধ জানিয়েছি। আমাদের অনুরোধে তিনি আবারও দায়িত্বপালন করতে রাজি হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেলে বিকেএমইএর নেতাদের অনুরোধে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে সম্মত হন সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার। এর আগের বুধবার (১০ মার্চ) ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। 

বিজিএমইএর ২০২১-২৩ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরিচালক সৈয়দ ফরহাত আনোয়ারকে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়। গত দুই মাস তার নেতৃত্বে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোটার তালিকা, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকাসহ বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বিজিএমইএর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের ৭০ জন প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। প্রার্থীদের তালিকায় নতুনদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

বিজিএমইএ সূত্র জানিয়েছে, সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের ৭০ জন প্রার্থী ৩৫টি পরিচালক পদে নির্বাচন করবেন। নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি ও সাতজন সহসভাপতি হবেন। প্রাথমিকভাবে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের ৯৯ জন প্রার্থী ১০৩টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

৪ মার্চ ৩৩টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়। এরপর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচনী বোর্ড। ৪ এপ্রিল রাজধানীর রেডিসন হোটেলে এবং চট্টগ্রামে সংগঠনটির আঞ্চলিক কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

ফারুক হাসানের নেতৃত্বে এ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে সম্মিলিত পরিষদ ও স্বাধীনতা পরিষদ নির্বাচন করছে। অপরদিকে সম্মিলিত ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান সভাপতি রুবানা হক ও তার ছেলে নাভিদুল হক।

ঢাকার ২৬টি পরিচালক পদের জন্য সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা হলেন- ফারুক হাসান, শহিদুল হক, আবদুল্লাহ হিল রাকিব, শহীদউল্লাহ আজিম, নীলা হোসনে আরা, মহিউদ্দিন রুবেল, জাহাঙ্গীর আলম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, শিরিন সালাম, তানভীর আহমেদ, ইন্তেখাবুল হামিদ, কফিল উদ্দিন আহমেদ, ইমরানূর রহমান, আশিকুর রহমান, মিরান আলী, খসরু চৌধুরী, মশিউল আজম, নাছির উদ্দিন, এস এম মান্নান, শোভন ইসলাম, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, হারুন অর রশীদ, আরশাদ জামাল, আসিফ আশরাফ, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা ও রাজীভ চৌধুরী।

অন্যদিকে ঢাকায় ফোরামের প্রার্থীরা হলেন- রুবানা হক, এ বি এম সামসুদ্দিন, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, শিহাবুদৌজা চৌধুরী, এনামুল হক খান, ভিদিয়া অমৃত খান, কামাল উদ্দিন, মাশিদ রুম্মান আবদুল্লাহ, এম এ রহিম, শাহ রিয়াদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান, খান মনিরুল আলম, এ এম মাহমুদুর রহমান, নাফিস উদ দৌলা, আসিফ ইব্রাহিম, মজুমদার আরিফুর রহমান, তাহসিন উদ্দিন খান, নাভিদুল হক, রশীদ আহমেদ হোসাইনী, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, মাহমুদ হাসান খান, রেজওয়ান সেলিম, ফয়সাল সামাদ, রানা লায়লা হাফিজ, মেজবাহ উদ্দিন আলী ও নজরুল ইসলাম।

চট্টগ্রামে ৯টি পরিচালক পদের জন্য সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা হলেন- এ এম শফিউল করিম, এম আহসানুল হক, মো. হাসান, রকিবুল আলম চৌধুরী, তানভীর হাবিব, মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা, অঞ্জন শেখর দাশ, আবসার হোসেন ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

ফোরামের প্রার্থীরা হলেন- মোহাম্মদ আতিক, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, শরীফ উল্লাহ, মির্জা মো. আকবর আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ দিদারুল আলম, রিয়াজ ওয়েজ ও খন্দকার বেলায়েত হোসেন।

২০১৯-২১ মেয়াদে সংগঠনটির মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯৫৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ১ হাজার ৫৯৭ জন। বাকি ৩৫৮ জন চট্টগ্রামের। ২০১৩ সালে ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ১৯৬ জন। ছয় বছরের ব্যবধানে ভোটার কমেছে ১ হাজার ২৪১ জন।

এমআই/এইচকে