বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরটা দর্শনার্থীতে পূর্ণ। দোকানোর মাঝের গলিতে একজনের সঙ্গে আরেকজনের ধাক্কা লেগে যাচ্ছে প্রায়। বেশিরভাগ পণ্যের দোকানে রয়েছে মানুষের সরব উপস্থিত। তারপরও বিক্রেতারা বলছেন, মেলায় তেমন বিক্রি নেই। ঢাকার (আগের মেলা প্রাঙ্গণ) ভেতরেই ভালো ছিল। 

শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার চলমান ২৭তম আসরের ২১তম দিন আজ। মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে পূর্ব পাশের জোনে দেখা গেছে, মেয়েদের শাল, ব্যাগ, জুতাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দোকানে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি। সবচেয়ে বেশি ভিড় রয়েছে বিদেশি পণ্যের দোকানে। নানা রং, নানা ডিজাইনের শাল চাদর ব্যাগ জুতা স্থান পেয়েছে এসব দোকানে। মেলায় মানুষজনের ব্যাপক থাকলেও বিক্রেতারা একেবারেই সন্তুষ্ট নন। তারা বলছেন, এত মানুষ থাকলেও সবাই শুধু দেখতে আসছে। কিনছে কম।

শারমিন সুলতানা নামে একজন ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন বিদেশি পণ্যের দোকান দেখলাম। ‌আমি একটি কাশ্মিরি সাল কিনেছি ২ হাজার টাকায়। নানা ধরনের পণ্য রয়েছে দোকানগুলোতে। বাণিজ্য মেলার বাইরে এসব পণ্য দেখাই যায় না। তাই প্রতি বছরই মেলায় আসি।

আরেক ক্রেতা শায়লা আহসান বলেন, ক্রোকারিজ জিনিসের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। প্রতি বছর কিছু কিছু করে কিনতে কিনতে বাসায়ই মেলা বানিয়ে ফেলেছি। বাণিজ্য মেলায় এলে নানা ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। পছন্দের জিনিসগুলো কালেকশনে রাখি।

নন্দি এক্সপোর্টের বিক্রয়কর্মী মাহমুদ বলেন, পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলা একেবারে ফ্লপ। বাণিজ্য মেলা যখন আগারগাঁওয়ে ছিল তখনই বেশ ভালো বিক্রি হতো। এখানে আগের মতো বিক্রি হয় না। খরচ বাদে কোনোরকম পোষানো যায় আর কি।

ইন্ডিয়ান ফুটওয়্যারের বিক্রেতা সানু ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভালই বিক্রি হচ্ছে। তবে একেবারে ভালো বলা যাবে না।

এক্সিবিশন সেন্টারের বাইরে একেবারে পূর্ব পাশে রয়েছে ছেলেদের ব্লেজারের দোকান। তবে সেখানে মেয়েদের দোকানের মতো এত ভিড় নেই। প্রতিটি দোকানে হাতেগোনা কয়েকজন দর্শনার্থী আছেন। একটি ব্লেজার দোকানের কর্মী রাসেল ঢাকা পোস্টে বলেন, এখন আর ছাড় দিয়েও মানুষকে ব্লেজারের দোকানে আনা যায় না। আগারগাঁওয়ে যখন ছিল, তখন বেশ ভালো বিক্রি হতো। এখন তো নিজে দেখতে পাচ্ছেন কি অবস্থা। হয়তো শেষের দিকে একটু বিক্রি হতে পারে।

এমএইচএন/জেডএস