অস্থির বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজুলর রহমানের সঙ্গে ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সৌজন্য সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে তিনি এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। 

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে অতিদ্রুত একটি সমন্বিত ও কার্যকর ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস)’ কার্যক্রম চালু করা প্রয়োজন। ওএসএস-এর সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে বিডার ওএসএস-এ আবেদন করার পরে বিনিয়োগকারীদের আলাদাভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেতে না হয়। এটি নিঃসন্দেহে বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।

ব্যারিস্টার সাত্তার সালিস আইন ২০০১, দেউলিয়া বিষয়ক আইন ১৯৯৭ এবং কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর উল্লেখযোগ্য সংস্কারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে সংশোধনী আনতে হবে যাতে করে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে সহজে বাণিজ্যিক চুক্তি কার্যকর করতে পারে এবং যেকোনো বাণিজ্যিক বিরোধ দ্রুত সমাধান করতে পারে। পৃথক একটি ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপনের জন্যও তাগিদ দেন, যা চুক্তি প্রবলের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে পারে এবং দ্রুত বিরোধ নিষ্পত্তির পাশাপাশি বিচারাধীন বাণিজ্যিক বিরোধের জট কমাতে পারে। এর ফলে এটি বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে।

পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং একটি সুদৃঢ় বেসরকারি খাত তৈরির ওপরও মনোনিবেশ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ডিসিসিআিই সভাপতি।  

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে। এই পরিস্থিতিতে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবাহ বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এজন্য স্থানীয় ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোরারোপ করা প্রয়োজন।

বিডা’র ওএসএস সেবার বিষয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে সহায়তার লক্ষ্যে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সমন্বিত এবং কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ওএসএস’কে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিডা’র প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে জিডিপিতে রাজস্বের অবদান বাড়াতে তিনি রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির জন্য করজাল সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।       

এ সময় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী সহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।       

আরএম/এমএ