গত ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমেছে। জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। যা গত ডিসেম্বর মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ।

সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদে এ তথ্য উঠে এসেছে।

যদিও ২০২২ সালের জানুয়ারির তুলনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

আরও পড়ুন>>খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল কীভাবে? এটা সঠিক চিত্র নয় : সিপিডি

বিবিএস জানায়, গত জানুয়ারিতে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। যা গত মাসে ছিল ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। জানুয়ারি মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। যা গত মাসে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাক জাতীয় পণ্যের দাম কমায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। পাশাপাশি কমেছে বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দামও।

আরও পড়ুন>>খাদ্যে ১৫৩ দেশে মূল্যস্ফীতি ৮১ শতাংশ

জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর শহরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। 

প্রতি মাসে কৃষি শ্রমিক, পরিবহন কর্মী, বিড়ি শ্রমিক, জেলে, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিকসহ ৪৪ ধরনের শ্রমিকের মজুরির তথ্য সংগ্রহ করে মজুরি হার সূচক তৈরি করে বিবিএস। এর মধ্যে শিল্প খাতের ২২ ধরনের এবং কৃষি ও সেবা খাতের প্রতিটিতে ১১ ধরনের পেশা অন্তর্ভুক্ত। এসব পেশাজীবীর মজুরি এবং দক্ষতা কম এবং দৈনিক ভিত্তিতে তারা মজুরি পান।

এসআর/কেএ