কোনো শিল্প উদ্যোগ যেন রুগ্ন হয়ে না পড়ে সেজন্য দীর্ঘমেয়াদি শিল্প ঋণ নিশ্চিতকরণের আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই)।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এফবিসিসিআইয়ের ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিহ্যাবিলিটেশন অব সিক ইন্ডাস্ট্রিজ’র দ্বিতীয় সভায় এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআই সভাপ‌তি বলেন, ব্যাংক ঋণ নিয়ে একটি কারখানা স্থাপন করতে গেলে দেখা যায়, কাজ শেষ হওয়ার আগেই ঋণের মেয়াদ শেষ। এতে করে একজন উদ্যোক্তা তার কারখানায় উৎপাদন শুরুর আগেই ঋণ খেলাপিতে পরিণত হন। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ব্যবস্থা না থাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠানটি রুগ্ন হয়ে পড়ে।

একবার কোন উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠান ঋণ খেলাপি হয়ে পড়লে, প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে তার ঋণ হিসাব সহজে অবসায়ন করা সম্ভব হয় না বলে জানান ব্যবসায়ী নেতারা। এমন অবস্থায়, রুগ্ন শিল্পের পুনর্বাসন ও নিষ্পত্তিকরণ প্রক্রিয়া সহজীকরণে নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মো. জসিম উদ্দিন। এ বিষয়ে শিল্প উদ্যোক্তাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।

সভায় এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু জানান, বহু আগে থেকেই নন টেক্সটাইল খাতের শিল্পগুলোর নিষ্পত্তিকরণ হচ্ছিল না। এ ব্যাপারে এফবিসিসিআই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে।

এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রুগ্ন শিল্পকে টেনে তুলতেই হবে। এক্ষেত্রে দেশের ব্যাংকগুলো বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

সভায় জানানো হয়, রুগ্ন শিল্পের ঋণ হিসাব অবসায়নে ইতোমধ্যে দুটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন চান এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ও কমিটির সদস্য মাকসুদুর রহমান।

রুগ্ন শিল্পের নিষ্পত্তিকরণ প্রক্রিয়ার জটিলতা দূর করতে দ্রুত একটি ‘রুগ্ন শিল্প নীতিমালা’ প্রণয়ন জরুরি বলে জানান কমিটির চেয়ারম্যান সাদেক উল্ল্যাহ চৌধুরী।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সালাউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক হাসিনা নেওয়াজ, এম.জি. আর. নাসির মজুমদার, সাবেক পরিচালক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।

এসআই/কেএ