ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকগু‌লো‌ প্রতি মাসে গ্রাহ‌কের ঋণের তথ্য বাংলা‌দেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্যভাণ্ডার বা ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) পাঠায়। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সংখ্যা পরিবর্তনের কারণে ব্যক্তি বা গ্রাহক চিহ্নিত করতে বেশ সমস্যায় পড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

১৭ সংখ্যার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ১১ সংখ্যার জাতীয় পরিচয়পত্রের (স্মার্ট কার্ড) ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। কিন্তু ব্যক্তি একজনই। এমন প‌রি‌স্থি‌তি‌তে সিআইবি তথ্য যাচাই‌য়ের জন্য সিস্টেম পরিবর্তন করা জরু‌রি হ‌য়ে প‌ড়েছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সিআইবি ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট ও সিআইবি ডিপার্টমেন্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টি উঠে এসেছে। বাংলা‌দেশ ব্যাংকে সম্প্রতি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে থাকা এক কর্মকর্তা জানান, সিআইবিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণবিষয়ক সব ধরনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এতে সর্বনিম্ন এক টাকা থেকে সর্বোচ্চ যেকোনো অঙ্কের ঋণের তথ্য রয়েছে। পাশাপাশি ঋণের জামানতের তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। এসব তথ্য কেবল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্ধারিত কিছু কর্মকর্তা দেখতে পারেন। এর বাইরে অন্য কেউ দেখতে পারেন না।

প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সিআইবি রয়েছে। এতে কর্মরতদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি পাসওয়ার্ড দেয়। এটি দিয়ে সিআইবি সার্ভারে প্রবেশ করতে হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ছাড়া সিআইবিতে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারে এমন বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৬ জানুয়ারি ২০২২-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি মাসের ব্যাচ কন্ট্রিবিউশন পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সিআইবি অনলাইন সিস্টেমে আপলোড করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এসআই/এমএআর