গোল্ড ক্যাটাগরি থেকে এবার পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা হিসেবে প্লাটিনাম ক্যাটাগরির সনদ পেয়েছে এনএইচটি ফ‍্যাশনস লিমিটেড।

চট্টগ্রামে অবস্থিত কারখানাটিকে ১ মার্চ (বুধবার) যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) নতুন মান সনদে ভূষিত করা হয়।

এনএইচটি ফ‍্যাশনস প্যাসেফিক জেনস গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্য প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশি কারখানা হিসেবে ৬৫তম প্লাটিনাম কারখানা হিসেবে স্বীকৃত পেল।

শনিবার (৪ মার্চ) বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, এন এইচটি ফ‍্যাশনসকে পুনরায় সার্টিফাইড করা হয়েছে। কোম্পানিটি ৮৪ পয়েন্ট পাওয়ায় গোল্ড ক্যাটাগরি থেকে প্লাটিনামে উন্নতি করা হয়েছে।

কোম্পানিটি ইউএসজিবিসির মানদণ্ড অনুযায়ী ৬৪ পয়েন্ট পেয়েছিল। তাই ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট ইউএসজিবিসি কোম্পানিটিকে গোল্ড ক্যাটাগরির সনদ দিয়েছিল।

গ্রিন টেক্সটাইল দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত পোশাক খাতের একটি কারখানা। এটির মালিকানায় রয়েছে পোশাক খাতের হংকংভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি এপিক গ্রুপ ও বাংলাদেশের এনভয় লিগ্যাসি। এনভয় লিগ্যাসির পক্ষে গ্রিন টেক্সটাইল পরিচালনায় রয়েছেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ।

এর আগের ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর বিশ্বের সেরা পরিবেশবান্ধব কারখানা ছিল ইন্দোনেশিয়ায়। এবার কারখানাটি ১১০ নম্বরের মধ্যে ১০১ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

শীর্ষ ১০টি তালিকার বাকি ৭টি কারখানার হচ্ছে, রেমি হোল্ডিংস, ফতুল্লা অ্যাপারেলস, তারাসিমা অ্যাপারেলস, প্লামি ফ্যাশনস, সিল্কেন সুইং, মিথেলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশি কারখানাটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। শুধু দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

শীর্ষ ১০০ কারখানা ৫২টিই বাংলাদেশের ইউএসজিবিসির তালিকায়, বিশ্বের পরিবেশবান্ধব শীর্ষ ১০০ কারখানার মধ্যে ৫২টিই বাংলাদেশের। এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীনের রয়েছে ১০টি কারখানা। এরপর পাকিস্তানের আছে ৯টি কারখানা। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের আছে ৬টি করে ১২টি কারখানা। ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের আছে ৪টি করে ৮টি কারখানা। বাকিগুলো অন্যান্য দেশের।

এমআই/এসকেডি