২৮ ধরনের পণ্যে শুল্ক-কর সুবিধা চেয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আসন্ন রমজান ও দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এমন দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এমন প্রস্তাবনা দেয় সিপিডি।

এদিন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, এসএমই ফাউন্ডেশন, স্নেহাশিস মাহমুদ অ্যান্ড কোং, বিআইডিএস, পিডাব্লিউসি ও আরনেস্ট অ্যান্ড ইয়ং অ্যাডভাইসরি লিমিটেড বাংলাদেশের কর্মকর্তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেন।

সিপিডি যেসব পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করেছে তার মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের হিমায়িত পশুর মাংস (গরু, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদি), মুরগি, মাছ (রুই, কাতলা, পাঙাশ, কার্প ইত্যাদি), ইলিশ, বিভিন্ন ধরনের দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, খেজুর, দারুচিনি, গোলমরিচ (পিপার), ধনিয়া, আদা, হলুদ, ভুট্টা, চাল, পাম তেল ও লবণ।

আগামী বাজেটে আমদানি করা ২৮ ধরনের পণ্যে শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। তবে কোন পণ্যে কতটুকু শুল্ক-কর কমাবে তা এনবিআরকেই ঠিক করার অনুরোধ করেছে তারা।

সিপিডির রিসার্চ ফেলো মুনতাসীর কামাল- অফশোর ট্যাক্স অ্যামনেস্টিসহ কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করার প্রস্তাবও দেন। এছাড়া, ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে সংরক্ষণমূলক নীতির বিপক্ষে অবস্থান তুলে ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমিতি (বিইএ)। সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়, "ধনী দেশের যারা এসব প্রস্তাব দিচ্ছেন, তারা সব ধরনের সংরক্ষণমূলক নীতি অবলম্বন করেই ধনী হয়েছেন। তবে ধনী হওয়ার পর উপরে ওঠার মই লাথি মেরে সরিয়ে মুক্তবাজারে আমাদের খেলতে বলছেন, যা দ্বিচারিতা।"

বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে শুল্ক বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদেক, ভ্যাট নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

আরএম/এমজে