রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর বাজার ও ১১ নম্বরের সুপারশপ ক্যারি ফ্যামিলির দুটি আউটলেটে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। অভিযানে ১ নম্বর বাজারের আউটলেটে মাছ ও ফলমূলে কোনো ফরমালিন না পেলেও ১১ নম্বরের আউটলেটে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন পণ্য বিক্রি করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (২৫ মার্চ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুলের নেতৃত্বে বিএসটিআইয়ের ১০ সদস্যের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক মো. রিয়াজ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘বিএসটিআই সবসময় ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে। শিল্পমন্ত্রীর নির্দেশনার পর আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম, পুরো রমজান মাসে আমরা ভেজালবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সারা বাংলাদেশে কমপক্ষে ১৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।’

তিনি বলেন, ‘মিরপুর-১ নম্বরের পর আমরা মিরপুর-১১ নম্বরের ক্যারি ফ্যামেলিতে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানের সময় আমরা দেখেছি এখানে সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, বিস্কুট, মুড়ি, দই, রুটি, চিনি ইত্যাদি পণ্যগুলো বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই এবং সঠিকভাবে প্যাকেজিং রুল অনুসরণ না করায় আমরা প্রসিকিউশন দায়ের করি। এরপরই আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্যাকেজ কমান্ডিংয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং অননুমোদিত পণ্য বিক্রি করার দায়ে আরও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন। ক্যারি ফ্যামেলি কর্তৃপক্ষ তাদের জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছে।’

মিরপুর-১ নম্বর বাজারের অভিযানের বিষয়ে উপপরিচালক রিয়াজ হোসেন, ‘আজকে বেলা ১১টায় মিরপুর-১ নম্বরের শাহ আলী মার্কেটে প্রথম অভিযান পরিচালনা করেছি। সেখানে দুটি দোকানে খোলা মসলা বিক্রি করতে দেখে আমরা সেই পণ্যগুলো সংগ্রহ করেছি। পণ্যগুলো আমরা বিএসটিআইয়ের ল্যাবে পরীক্ষা করবো। পরীক্ষায় নিম্নমানের পণ্য বিবেচিত হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করবো।’

এছাড়া, ‘মিরপুর-১ নম্বরে আমরা বিভিন্ন মুদি দোকান, মাছ, মাংস এবং ফলমূলের দোকানেও অভিযান পরিচালনা করেছি। বিশেষ করে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরির মাধ্যমে মাছ এবং ফলমূলের ফরমালিন পরীক্ষা করেছি। পরীক্ষার পর আমরা কোনোটাতেই ফরমালিন পাইনি। মিরপুরের শাহ আলী বাজারের অধিকাংশ দোকানে আমরা বাটখাড়া যাচাই করেছি। এমনকি ক্রেতাদের কাছ থেকেও পণ্য নিয়ে পরিমাপ করেছি এবং সঠিক পেয়েছি।’  

এসআর/জেডএস