রমজান যত এগিয়ে আসছে খাদ্যদ্রব্যের দামও তত বাড়ছে। তেল ও চালের পর এবার বেড়েছে মাংসের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০-৩০ টাকা। খাসির মাংসের দামও বেড়েছে। দেশি মুরগির দাম আরও বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কাপ্তান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে। অথচ গত সপ্তাহে গরুর মাংসের দাম ছিল ৫৭০ টাকা পর্যন্ত। এ বাজারে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৮০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজিতে। 

হঠাৎ মাংসের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে মাংস ব্যবসায়ী (কসাই) আমান মোল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামনে রোজা। এখন প্রচুর অনুষ্ঠান হচ্ছে। এ কারণে চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাই দাম বেড়েছে।

প্রায় একই কথা বলেন খাসির মাংস বিক্রেতা করিম শেখ। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার কারণে অনেক বিয়ে আটকা ছিল। এখন মানুষ বিয়ে, মিলাদসহ সামাজিক অনুষ্ঠান করছে, মাংসের চাহিদা বেড়েছে। তাই দাম বেড়েছে।

মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে। আর লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। পাকিস্তানি সোনালী বা কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ দেশি মুরগির দামও বেড়েছে। আগের সপ্তাহে দেশি মুরগির কেজি ছিল ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, মুরগি দাম আপাতত কমছে না, সামনে রোজা, দাম উল্টো বাড়বে।

বাজারটিতে গরুর মাংস কিনতে আসা রোপক সরকার বলেন, চার-পাঁচ মাস হলো গরুর মাংস খাওয়া হয় না। আজ ছেলের বায়নায়  মাংস কিনতে এলাম। কিন্তু দাম শুনে আমি আশ্চর্য হলাম। কয়েকটি দোকানে ঘুরে দেখেছি ৫৭০ টাকার নিচে মাংস নেই। তিনি বলেন, সামনে রোজা...মাংসের দাম আরও বাড়তে পারে। তাই ছেলের আবদার রাখতে এক কেজি কিনেছি।

খাসির মাংস কিনতে আসা মিনহাজ আবেদিন নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা বলেন, খাসির মাংসের দাম অনেক বেশি। মনে হচ্ছে না কিনেই চলে যাই।

এমআই/এনএফ