বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্যবহার্য পণ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, সেবা এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পের কাঁচামালে প্রযোজ্য মূসক ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবনে (এনবিআর) সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষ্যে মূল্য সংযোজন কর বা মূসক বিষয়ক আলোচনা সভায় বণিক সংগঠনটি এই প্রস্তাবনা দেয়।

বৈঠকে শিল্প পরিচালন ব্যয় কমানোর জন্য আমদানি পর্যায়ে শিল্প খাতের প্রদেয় আয়কর ও আগাম কর প্রত্যাহারেরও প্রস্তাব দেয় এফবিসিসিআই। 

আগাম কর প্রত্যাহার প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আগাম কর সমন্বয়ের অপারগতা এবং উৎসে কর্তনকৃত মূসক রিফান্ড নিতে না পারার কারণে উৎপাদন পরবর্তী সমন্বয় চেইন ভেঙে পড়েছে ও মূলধন দায় বেড়ে যাচ্ছে। ব্যবসা পরিচালনার নির্বাহী খরচ, সময় হার ও হয়রানি বেড়ে শিল্পায়ন প্রক্রিয়া অহেতুক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে।

সংগঠনটির প্রস্তাবনায় সাধারণ পণ্য পরিবহন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পের কাঁচামাল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রি-সাইক্লিং, টেন্ডার বহির্ভূত সরাসরি পণ্য মেরামত বা সার্ভিসিং খাত ইত্যাদি ক্ষেত্রেও মূসক ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

এছাড়া নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত টার্নওভার কারি একক বা সম্পর্কিত এন্টারপ্রাইজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃহৎ করদাতা ইউনিটে (এলটিইউ) তালিকাভুক্ত করা এবং সব বৃহৎ করদাতা অঞ্চলে এলটিইউ স্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছে এফবিসিসিআই।

আউটপুট ভ্যাট থেকে ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় করার সুবিধাসহ পণ্য ও পরিসেবার লেনদেনের ওপর মূসক ১৫ শতাংশ করা, রিয়েল স্টেট, লোহা ও ইস্পাত ইত্যাদিসহ তালিকাভুক্ত খাতের জন্য নির্দিষ্ট ট্যারিফ ভিত্তিক মূসক বহাল রাখার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় করা না হলে সব প্রক্রিয়াজাত পণ্যে এবং সেবার লেনদেন মূল্যের ওপর এই আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হারে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক বহাল করা, ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় না করা হলে পাইকারি এবং খুচরা বিক্রয় পর্যায়ে লেনদেনের মূল্যের ওপর মুসক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে বহাল করা ইত্যাদি।

আরএম/কেএ