ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ পরিচালনা করত থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড। এখন ‘নগদ লিমিটেড’ নামে কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। এ কোম্পানির ৫১ শতাংশ মালিকানা ডাক বিভাগের। বাকি ৪৯ শতাংশ শেয়ার পাবে বেসরকারি খাতের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে। ফলে ‌‍‌নগদ-এর লাভের সঙ্গে লোকসানও বহন করতে হবে ডাক বিভাগকে। বর্তমানে নগদ-এর আয়ের ৫১ শতাংশ পায় ডাক বিভাগ, তাদের কোনো লোকসান বহন করতে হয় না।  

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ। তিনি জানান, ডাক বিভাগ নগদের ৫১ শতাংশ শেয়ার নেবে। এ জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অর্থ ও আইন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাই করবে। এরপর কেবিনেটে পাস হওয়ার পর সব প্রক্রিয়া শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নগদকে ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে লাইসেন্স দেবে।

তানভীর এ মিশুক বলেন, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ নগদের কার্যক্রম শুরু হয়। গত বছরের নভেম্বরে দুই কোটি গ্রাহক ছিল। এখন মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৮০ লাখে। গত নভেম্বর মাসের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হতো ১৫০ কোটি টাকা। এখন প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকা। তারপরও নগদ লোকসানে আছে বলে জানান, প্রতিষ্ঠানটির এমডি তানভীর এ মিশুক।

নগদের শেয়ার সোনালী ব্যাংক কিনছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তানভীর আহমেদ বলেন, সোনালী ব্যাংক যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সোনালী ব্যাংক যে বিনিয়োগ করতে চেয়েছে, তা আমরা প্রতিদিন বিজ্ঞাপনে ব্যয় করি।

তিনি জানান, যখন ৮০ কোটি লেনদেন ছিল, তখন নগদের ভ্যালুয়েশন ছিল প্রায় দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এখন লেনদেন ৪০০ কোটি টাকা, ভ্যালুয়েশনও পাঁচ গুণ বেড়েছে।

নগদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ বলেন, আগামীতে গুণগত মানে আমরা নতুনত্ব আনতে চাই। এখন দেশব্যাপী দেড় লাখ এজেন্ট কাজ করছে। ‘ব তে বেকুব’ নগদের বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে রাহেল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনে নতুনত্ব এনেছে নগদ। কাউকে আক্রমণ করে ‘ব তে বেকুব’ বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়নি। নতুনভাবে এই বিজ্ঞাপন আসছে বলে জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নগদের পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম ও ডাক বিভাগের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন নুর প্রমুখ।

এসআই/ওএফ