দেশে বড় বড় প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে কিন্তু সেই তুলনায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। প্রতিটি হাতে কাজ দিতে না পারলে উন্নয়ন স্থায়িত্ব লাভ করবে না। এজন্য ধারাবাহিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবিতে ১৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস (এমডব্লিউইআর) নামের একটি সংগঠন। 

শনিবার (২৭ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ বাজেট প্রস্তাব করে। 

আসন্ন বাজেটের জন্য ১৭ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকার জাতীয় স্বপ্নবাজেট প্রস্তাব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ। এ সময় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ কৌশিক, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সহকারী সম্পাদক জাহিদ রাকিব, শুভাকাঙ্ক্ষী সারোয়ার সরদার প্রমুখ।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্পর্কে আরিফ বলেন, ৫ লাখ ১০ হাজার ৪৩১ কোটি টাকায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করা সম্ভব। ৪০টি মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে এ কাজ করবে। তার মধ্যে কৃষিতে ২৫ লাখ, যুব ও ক্রীড়ায় ২৩ লাখ, (সমুদ্রবিষয়ক) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নৌপরিবহন, পরিবেশও বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে ১৭ লাখ, প্রবাসী কল্যাণে ১৫ লাখ, শ্রম ও কর্মসংস্থানে ১০ লাখ, স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়নে ৭ লাখ, অর্থে ৩ লাখ, আইসিটিতে ৩ লাখ, শিল্পে ২ লাখ বাকি মন্ত্রণালয়গুলো মিলে ৫ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ৭ বছর ধারাবাহিকভাবে এ কাজ করা সম্ভব হলে দেশের সব শিক্ষিত-ঝরে পড়া-নিরক্ষর মানুষের শতভাগ কর্মসংস্থান নিশ্চিত হতে পারে। 

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য পরিচালন ব্যয় ধরা হয় ৪ লাখ ৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং করমুক্ত আয়ের সীমা বার্ষিক ৬ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। 

বাজেটে আয়ের খাতগুলো হলো- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর থেকে ১০ লাখ ৭০ হাজার ২২৫ কোটি টাকা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ২০১ কোটি টাকা ও কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। সর্বমোট ১৭ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা।

এছাড়া বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যাংক ও স্বাস্থ্য ব্যাংক এবং নৌ, পানিসম্পদ, মৎস্যসম্পদ ও সমুদ্র নিয়ে আলাদা সমুদ্রবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানায় সংস্থাটি।

আরএম/জেডএস