কিছুতেই ক্রেতার নাগালে আসছে না প্রাণিজ আমিষের সহজলভ্য উৎস মুরগির দাম। পুরো মাস জুড়ে দফায় দফায় দাম বেড়েছে সবধরনের মুরগির। রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা মুরগির বাজারে রীতিমতো আগুন! সেই আগুনে ঘি ঢেলেছে শবে বরাত।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে দাম বেড়েছে সব ধরনের মুরগির। কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়, লাল লেয়ার মুরগি কেজিপ্রতি ২১০-২২৫ টাকায়, দেশি মুরগির কেজি ৫৫০ টাকা এবং ৮০০ গ্রাম ওজনের সোনালি মুরগির পিস ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগের দিন (বৃহস্পতিবার) ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা, পাকিস্তানি কক/সোনালি মুরগির কেজি ১৩০-১৪০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগির কেজি ১৮০-১৯০ টাকা, দেশি মুরগির কেজি ৫০০ টাকা, কেজিপ্রতি সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা।

রাজধানীর হাতিরপুল বাজারের খুচরা মুরগি বিক্রেতা হারিস শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শবে বরাতের জন্য মুরগির বাজার বেড়েছে। চাহিদা প্রচুর কিন্তু সেই তুলনায় বাজারে মুরগি কম। তাই পাইকারি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। চড়াদামে কেনার পর আমরা কিছু টাকা লাভ না করলে ব্যবসা করা কষ্ট।

আরেক ব্যবসায়ী সোবহান মিয়া বলেন, প্রতিবারই শবে বরাতের আগে মাছ-মাংসের দাম বেড়ে যায়। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই।

তবে শুধু শবে বরাত নয়, মুরগির দাম বাড়ার পেছনে মুরগির খাবারের দাম বাড়াও বড় কারণ মনে করেন কারওয়ান বাজারের মহানগর হাঁস-মুরগি আড়ৎ সমবায় সমিতির ব্যবসায়ী মো. সিরাজ। তিনি বলেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ কম। ২৬ মার্চ যানচলাচল সীমিত থাকায় রাজধানীতে মুরগি কম এসেছে। এছাড়া শবেবরাত উপলক্ষে মুরগির চাহিদা বেশি। তাই দামও বেশি। 

আরএইচটি/এইচকে