এখন পর্যন্ত দেশে ৪ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে আমদানি করা ৮ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় গত সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু করে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। সবশেষ বুধবার (৭ জুন) আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

প্রথম দিন সোমবার ২ লাখ ৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত রোববার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ঘোষণা দেন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের এবং শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।

এদিকে ভারত থেকে আমদানি করা হবে এমন ঘোষণার পর কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিনে পণ্যটির দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এরই মধ্যে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজও পৌঁছে গেছে। প্রায় এক মাস সীমান্তে এসে অপেক্ষমাণ থাকার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে বাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা একটু বেশি।

এসএম