স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, বিনিয়োগবান্ধব সরকারি নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, প্রণোদনা প্রদান, অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কারণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। 

বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী। লিখিত জবাবে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থ-বছর পর্যন্ত অর্থাৎ গত চার অর্থবছরে দেশে মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ৪৬ লাখ ৯১ হাজার ১৯৫ মিলিয়ন টাকা।

বিডার তথ্য মতে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে ২০২১-২০১২ অর্থবছরে দেশি বিনিয়োগ ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৮৯ মিলিয়ন টাকা। বিদেশি বিনিয়োগ ১২ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ (বার লাখ সাতচল্লিশ হাজার দুই শত পাঁচ দশমিক ছয় আট ছয়) মিলিয়ন টাকা। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে প্রকৃত বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১৩ লাখ ৩০ হাজার ৪৯৫ মিলিয়ন টাকা।

এদিকে সংসদে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছেন, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ২৮ হাজার ১২৯ জনের বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি সরকারের অগ্রাধিকার প্রাপ্ত কর্মসূচিগুলোর মধ্যে অন্যতম। বর্তমান সরকারের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষিত বেকার যুবদের অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছরে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। 

তিনি আরও জানান, এ কর্মসূচির ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ এবং ৭ম পর্বের কার্যক্রম ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। ৮ম পর্বের কার্যক্রম চলমান রয়েছে ও এ পর্বের কার্যক্রম আগামী ৩১ আগস্ট সমাপ্ত হবে। এ পর্যন্ত ৮টি পর্বের দেশের ৪৮টি জেলার ১৩৭টি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। এ কর্মসূচির মোট বাছাইকৃত উপকারভোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬১৪ জন। এ পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

কেএ