হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের প্রভাব পড়েছে মার্কেট ও খাবারের হোটেলে। রোববার ফার্মগেট এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিনের তুলনায় রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম। এর পাশাপাশি জনসাধারণের সমাগমও সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে কিছু গণপরিবহন চললেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কম রাস্তায়। হরতালের কারণেই মূলত ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে ফার্মগেট এলাকায় প্রিন্স রেস্তোরাঁর ম্যানেজার আনোয়ার ঢাকা পোস্টকে জানান, হরতালের কারণে আজ কোনো কাস্টমার নেই। অন্যান্য দিন সকালের নাস্তার সময় ভালোই বেচা-বিক্রি হয়, তবে আজ সকাল থেকে হাতে গোনা কয়েকজনের কাছে নাস্তা বিক্রি করেছি। আজ সারাদিনের খরচের টাকা ওঠানোই কষ্ট হয়ে যাবে।

ফার্মগেটের ফুটপাতের দোকানি আজমল বলেন, পেট চলে না, হরতাল দিয়ে কী করবো। একদিন দোকানদারি না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। যারা হরতাল দিয়েছে, তাদের কাউকে সকাল থেকে এ এলাকায় দেখা যায়নি। উনারা হরতাল দিয়ে বাসায় বসে আছে মনে হয়।  

বাংলাদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম, হাটহাজারীসহ সারা দেশে হেফাজতের আন্দোলনরতদের ওপর হামলা ও ৫ জন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ২৮ মার্চ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে হেফাজত ইসলাম। একই ঘটনায় শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

হেফাজতের হরতালে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন না দিলেও তা যৌক্তিক বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এসআর/এনএফ