উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের (এলডিসি গ্রাজুয়েশন) পরবর্তী বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে নতুনত্ব ও গবেষণায় আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে আমেরিকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্যাকশন ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

সোমবার (১৯ জুন) এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
সমঝোতায় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও ফ্যাকশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ম্যাক্স গারজা স্মারকে সাক্ষর করেন। 
রোববার রাতে রাজধানীর বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রধান শাখায় এ চুক্তি হয়।

এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিন হেলালী, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান, এফবিসিসিআই ইনোভেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিকর্ণ কুমার ঘোষসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ স্মার্ট ও ডিজিটালাইজেশনের দিকে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের  উন্নত বাংলাদেশ গঠনে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া বেসরকারি খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সরকারের সাথে পলিসি লেভেলে কাজ করতে ব্যবসায়ীদেরও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ফ্যাকশন যেহেতু বিশ্বের অনেক দেশের সাথে গবেষণাভিত্তিক কাজ করে, তাদের সাথে এফবিসিসিআই যৌথভাবে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, পণ্য বৈচিত্র্যকরণের জন্য খাতভিত্তিক নীতিমালা তৈরির সময় এসেছে এখন। খাত ও ক্লাস্টারগুলোকে আলাদা করার জন্য দরকার দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল। এক্ষেত্রে নতুনত্ব আবিষ্কার ও গবেষণায় জোর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

আমেরিকা ও বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে পারলে দুই দেশই লাভবান হবে বলে জানান ফ্যাকশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ম্যাক্স গারজা। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বে গবেষণা প্রযুক্তির জ্ঞান ও দক্ষতা ছড়িয়ে দিতে ফ্যাকশন কাজ করবে বলে জানান তিনি।

এসআই/এনএফ