দেশে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির মধ্যে গরিবের কথা চিন্তা না করে ব্যবসায়ীদের লাভবান করতে সরকার চামড়ার কম মূল্য নির্ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।

ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।

দামড়ার দাম নির্ধারণের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার (২৫ জুন) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শহিদুল কবির বলেন, ২০১৩ সালের পর থেকে সরকার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে গরিবের হক নষ্ট করছে। সর্বক্ষেত্রে ঊর্ধ্বগতির মধ্যে চামড়ার মূল্য নির্ধারণে নিম্নগতি রহস্যজনক।

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, শুধু চামড়ার মূল্য নির্ধারণে নয় সকল ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের লাভবান করতে সরকার পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে তা আজকের আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় মূল্য নির্ধারণ করে গরিবের রক্ত শোষণ করছে। আর কোরবানির চামড়া যার বিক্রয় করা অর্থ অসহায় গরিব, এতিম ও মাদ্রাসা পায় সেই কোরবানির চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি পায় না। এগুলো দুঃখজনক ছাড়া আর কিছুই না।

শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, সরকারের এ দ্বিমুখী নীতি আগামী নির্বাচনে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আমাদের দাবি, কোরবানির গরুর চামড়া বর্গফুট গরু ১২০ ও খাসি ৭০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হোক।

জেইউ/এসকেডি