বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) আসন্ন নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন বিজিএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম ‍মুর্শেদী। সোমবার (২৯ মার্চ) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে সম্মিলিত পরিষদের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী হিসেবে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে ড. রুবানা হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বাধীনতার ৫০ বছর ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে সব সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছি। আমি বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট হিসেবে সদস্যদের ক্রেস্ট পাঠিয়েছি। নির্বাচনী প্রার্থী হিসেবে নয়। এতে কি করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, বিজিএমইএর সব সদস্যদের গত ২৪ মার্চ ড. রুবানা হক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ও ক্রেস্ট উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছে। যা সম্পূর্ণরূপে নির্বাচনী নীতিমালা পরিপন্থী। একজন প্রার্থী বিজিএমইএর কোনো সদস্য বা ভোটারকে কোনো প্রকার উপহার না  দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিজিএমইর সভাপতি থাকাকালীন সময়ে এমন আচরণ সদস্যদের বিভ্রান্তিতে ফেলার অপপ্রয়াস। যা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।

আরও বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী একজন প্রার্থী হিসেবে বিজিএমইএর পৃষ্ঠপোষকতায় ও সরাসরি অর্থায়নে এ ধরনের উপহার দেওয়া পরিস্কারভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। নির্বাচনকে সামনে রেখে নীতিমালা পরিপন্থী এমন কাজ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

উল্লেখ্য, আগামী ৪ এপ্রিল রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে ৩৫ পরিচালক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৭০ জন প্রার্থী প্রতিযোগিতা করছেন। ‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও ‘ফোরাম’ নামে দুটি প্যানেলের অধীনে নির্বাচন করছেন প্রার্থীরা।

ফোরামের পক্ষে নির্বাচনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনটির সাবেক সহ-সভাপতি ও হান্নান গ্রুপের চেয়ারম্যান এ বি এম শামছুদ্দিন। সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সহ-সভাপতি ও জায়ান্ট গ্রুপের প্রধান ফারুক হাসান। এর আগের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিজিএমইএর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

এমআই/ওএফ