কঠোর বিধিনিষেধের সময়ে আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত নিত্যপণ্য ক্রয় ও মজুত করে নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন এই আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরও একইভাবে অনেক ভোক্তা লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ার পর একসঙ্গে অনেক নিত্যপণ্য এমনকি চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, সাবান, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, স্যাভলন, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ সবকিছুই মজুত করে নিজের বাসগৃহকে গুদামে পরিণত করেছে। কিন্তু ২ মাস যেতে না যেতেই পণ্যগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনেকগুলো নষ্ট হতে শুরু করলো। অন্যদিকে একসঙ্গে এভাবে হুমড়ি খেয়ে পণ্য কেনায় ঝাঁপিয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা দাম ২-৩ গুণ বাড়িয়ে দেন। ফলে ক্রেতারা নিজেরাই বেশি দামে কিনতে বাধ্য হন। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই দাম কমে অর্ধেকে নেমে আসতে দেখা গেছে।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, পবিত্র ধর্ম ইসলামে পণ্য মজুতকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও মানুষ পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে মজুত ব্যবসায় নেমে পড়েন। আর এভাবে মজুত করার কারণে প্রান্তিক ও স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীও তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে জটিলতার সম্মুখীন হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, রমজান মাস এলেই আমাদের দেশের কিছু ধনাঢ্য ব্যক্তি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা আকারে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন। আবার অনেকে অধিক বরকত লাভের আশায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে থাকেন। কিন্তু পুরো রমজান মাস জুড়ে সাধারণ দরিদ্র মানুষ যেন ইফতার ও সেহেরি সাশ্রয়ী মূল্যে খেতে পারেন সেজন্য কিছু না করে অনেকটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা সুনাম কুড়ানোর জন্য এসব আয়োজন করা হয়। তাই ইফতার সামগ্রীর পরিবর্তে নগদ অর্থ প্রদান করা হলে দরিদ্র মানুষ তার প্রয়োজন অনুযায়ী কেনা-কাটা করতে পারবে। তাছাড়া দান ও যাকাত দরিদ্র মানুষের প্রতি করুনা নয়। বরং এটা তাদের অধিকার।  

আরএম/জেডএস