করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণার পরে হঠাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কেনাকাটা বেড়ে যায়। তাই বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দামও। কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৮ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে লকডাউনের কারণে অনেকে চাহিদার চেয়ে বেশি কিনেছে। ফলে দাম বেড়েছিল। এখন কেনাকাটার চাপ নেই। বাজারও স্বাভাবিক রয়েছে। পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর শ্যামবাজা‌র, মতিঝিল, মাণ্ডা, মুগদাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানায়। ব্যবসায়ীরা জানান, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যা ৪০ থেকে ৪২ টাকা ছিল।

মুগদার খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সোহরাব ঢাকা পোস্টকে জানান, আজ কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা বিক্রি করছি। আর দুই কেজি নিলে ৬৫ টাকা। এক পাল্লা (৫ কেজি) নিলে ১৬০ টাকা পর্যন্ত রাখছি। গত দুই তিন ধরে পেঁয়াজের বাজার কমতির দিকে।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহে লকডাউনের খবরে মানুষ বেশি কেনাকাটা করেছে। অনেকেই এক কেজি জায়গায় ৫ থেকে ১০ কেজি পেঁয়াজ কিনেছে। যার কারণে দাম বেড়েছিল। এখন সরবারহ ভালো থাকায় দামও কমেছে।

দাম কমায় বিক্রি কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন দাম বাড়ে তখন মানুষ কিনে বেশি। আর দাম কমলে কেনাও কমিয়ে দেয়। উল্টা নিয়ম। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ দিনে ৫/৬ বস্তা বিক্রি করেছি। গতকাল তিন বস্তাও বিক্রি করতে পারিনি। আজকেও তেমন বিক্রি নেই।

পেঁয়াজের দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শ্যামবাজা‌রের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী‌দের নেতা মেসার্স আলী ট্রেডার্সের পরিচালক মো. সামসুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পাইকারি ২৮ থেকে ২৯ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই এই দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছিল। কাঁচা পণ্য চাহিদার চেয়ে সরবারহ বেশি থাকলে দাম কমে যায়। আর সরবারহ কম থাকলে দাম বাড়ে। তবে এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক বলে তিনি জানান।

মুগদা বাজারে পেঁয়াজ কিনেতে আসা লিটন জানান, দুই সপ্তাহ আগে ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম ১৫০ টাকা দিয়ে। মাঝখানে দাম বাড়ায় এক কেজি ৪০ টাকা দিয়েও কিনেছি। আজকে ৫ কেজি ১৬০ টাকায় কিনেছি।

এসআই/ওএফ