ডিজিটাল কমার্স এখন শুধু পণ্য বিক্রেতাদের নয়, ক্রেতাদেরও প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ সময়ে তিনি আগামী দিনগুলোতে ডিজিটাল কমার্স পুরো ব্যবসা খাতকে নিয়ন্ত্রণ করবে বলে উল্লেখ করেন।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশব্যাপী উচ্চগতির ইন্টারনেট সম্প্রসারণ এবং লজিস্টিক সাপোর্ট হিসেবে ডাক অধিদফতরের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ডিজিটাল বাণিজ্য বিকাশের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। ডিজিটাল কমার্স খাতের উন্নয়নে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করছে, যা অব্যাহত থাকবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, অল্প সময়ে ডিজিটাল কমার্সের এই ব্যপ্তি শুধু করোনার কারণে হয়নি। করোনার মতো পরিস্থিতিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ই-ক্যাবের যারা নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের প্রচেষ্টার ফসল এটি।

দেশের সবচেয়ে বড় ডাক-চেইনকে ই-কমার্সের কাজে লাগানোর মাধ্যমে ডিজিটাল-কমার্সের ব্যপ্তি আরও প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব বলে জানান তিনি। 

ডিজিটাল কমার্স বিকাশের বিভিন্ন পথ ও দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি জানান, ডিজিটাল কমার্স শুধু ক্রেতার কাছেই পণ্য পৌঁছাবে তা নয়। বরং গ্রামের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও কুটির শিল্পপণ্য শহরেও পৌঁছাবে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ডিজিটাল যুগে প্রচলিত বাণিজ্য থাকবে না। করোনাকালে আমরা এর নমুনা দেখছি।

ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমালসহ আলোচনা সভায় অনেকেই বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, দেশে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি ডেলিভারি হচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায় ই-কমার্স কতদূর সামনের দিকে এগিয়েছে। তরুণেরা প্রশিক্ষণ নিয়ে আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। দেশের ই-কমার্স খাত ভবিষ্যতে আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।

একে/জেডএস