আসন্ন ঈদে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ ও করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আরও ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড প্রণোদনা চায় পোশাক খাত। এর মধ্যে  শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে ৫ হাজার ও করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা চায় খাত সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন তৈরি পোশাক মালিকাদের সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, আমরা গত মাসেই ধারণা করেছিলাম, দেশে নতুন করে করোনার প্রভাব বাড়তে পারে। করোনার এই অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠতে আমরা সরকারের কাছে দুই দফায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা চাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। এর মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা আর করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আরও ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা চাচ্ছি। তবে তার আগে এখন প্রথম কাজ হচ্ছে, পোশাক খাতকে ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ। হাসপাতালগুলোয় রোগীদের জায়গা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের পরিকল্পনা করছে সরকার।

এর আগে গত ২ মার্চ একটি হোটেল করোনা পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্পখাতে যে বিপর্যয়কর অবস্থা তৈরি হয়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যে বিকেএমইএর সদস্যদের নিয়ে এক বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আসন্ন দুটি ঈদে শ্রমিকদের বোনাস ও বেতন-ভাতা পরিশোধে নতুন করে আরও ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রণোদনা চায় পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএসহ পোশাক খাতের সব মালিকরা। এছাড়া পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা কাটিয়ে উঠতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধে কমপক্ষে ১৪-১৫ বছর সময় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। যদিও পরবর্তীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা যোগ করা হয়।  

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন দুই ঈদ পর্যন্ত পোশাক শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে নতুন করে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রণোদনা দরকার। নতুন প্রণোদনা ঋণ প্যাকেজ এবং আগের প্রণোদনা ঋণ প্যাকেজের পরিমাণ একীভূত করে উদ্যোক্তাদের আরও এক বছর সময় দিতে হবে। এছাড়া ১৮ মাসের পরিবর্তে কমপক্ষে ৩৬ মাসের কিস্তি পরিশোধের সময় দিতে হবে। এর ফলে পোশাকখাত আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। অন্যথায় এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল ৪৫ লাখ মানুষ এবং পরোক্ষভাবে দুই কোটি মানুষ ও তাদের পরিবারের জীবন-জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।

 এমআই/এসকেডি