বকেয়া রাজস্বের জালে আটকা আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি থেকে সবচেয়ে বেশি ৩৭ ভাগ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। সেখানে বকেয়ার মারপ্যাঁচে আটকা আছে ২৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) এনবিআরের মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে শুধু ভ্যাট বা মূসক থেকে আদায় করতে হবে এক লাখ ৫৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা। অথচ বকেয়া আদায়ই ঠিক মতো হচ্ছে না। হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। রয়েছে মামলার জট। এ কারণে আটকা আছে আরও ২০-২২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব।

চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) এনবিআরের মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে শুধু ভ্যাট বা মূসক থেকে আদায় করতে হবে এক লাখ ৫৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা। অথচ বকেয়া আদায়ই ঠিক মতো হচ্ছে না। হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। রয়েছে মামলার জট। এ কারণে আটকা আছে আরও ২০-২২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব

এনবিআর থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির মাঠ পর্যায়ের ১২টি অফিসের অধীনে চার হাজার ১৮৬ প্রতিষ্ঠানের কাছে আগস্ট পর্যন্ত ২৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। যা আদায় করতে দিনের পর দিন চিঠি চালাচালি চলছে। এমনকি পাঁচ বছরের বকেয়া টাকাও আটকা আছে। তবুও রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে কঠোর হচ্ছে না এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ।

জানা যায়, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) পাওনা সবচেয়ে বেশি। এ বিভাগের পাওনা ২২ হাজার ৬০৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। পরের অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। এ অফিসের আওতায় মোট পাওনা ৮১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এ ছাড়া, ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারের পাওনা ৬৩০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, ঢাকা পূর্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারের আওতায় বকেয়া পাওনা ২৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) পাওনা সবচেয়ে বেশি। এ বিভাগের পাওনা ২২ হাজার ৬০৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। পরের অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। এ অফিসের আওতায় মোট পাওনা ৮১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা

অন্যদিকে, ঢাকা পশ্চিম ও ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে অনাদায়ী রাজস্বের পরিমাণ যথাক্রমে ৭৯ কোটি ৮৫ লাখ ও পাঁচ কোটি ২৭ লাখ টাকা। একইভাবে রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, যশোর, রংপুর, কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাটি কমিশনারেটের পাওনা ১৮ কোটি ৪৭ লাখ,  ৬৯ কোটি ৩৬ লাখ, ১৩ কোটি ৫১ লাখ, ৩৪ কোটি ১৪ লাখ, ৬২ কোটি ৪০ লাখ এবং ১৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নিরীক্ষা) ড. মো. সহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বকেয়া রাজস্ব আদায়ে আমাদের মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। তারা চিঠি দিয়ে তাগাদা দিচ্ছে। আমাদের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই।

অন্যদিকে, এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাঠপর্যায়ের ১২টি অফিসের অধীনে প্রায় সাড়ে আট হাজার মামলার বিপরীতে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা অনাদায়ী অবস্থায় আছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে, এনবিআরের মাসিক সমন্বয় সভাগুলোতেও দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি ও বকেয়া আদায়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনালকে ব্যবস্থা নিতে বলছেন। পাশাপাশি সংস্থাটিকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করারও নির্দেশনা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

আরএম/এমএআর/