আসন্ন রমজা‌নে ইফতার ও সেহরিতে ব্যবহৃত ভেজাল খাদ্যপণ্য উৎপাদন কর‌ছে দেশের ৫০ প্র‌তিষ্ঠা‌ন। এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শা‌নোর নো‌টিস দি‌য়ে‌ছে মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

রোববার (১১ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয় পবিত্র রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইয়ের বিশেষ কার্যক্রম এবং বিএসএফআইসির চিনি বিক্রির বিষয়ে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং শিল্প সচিব কে এম আলী আজম প্রমুখ অংশ নেন।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, আসন্ন রমজানে ইফতার ও সেহ‌রির স‌ঙ্গে সম্পৃক্ত ৬৬১ ধর‌নের খাদ্যপণ্য সা‌র্ভিল্যান্স টি‌মের মাধ্য‌মে বাজার থে‌কে সংগ্রহ ক‌রে বিএসটিআইয়ের নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে  ৪৮৮টি প্র‌তিষ্ঠা‌নের পণ্যের ফলাফল পাওয়া গে‌ছে। যার ম‌ধ্যে ৫০টি নিম্নমা‌নের পণ্য পাওয়া যায়। এসব প্র‌তিষ্ঠান‌কে কারণ দর্শা‌নোর নো‌টিস দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। আগামী‌তে তা‌দের বিরু‌দ্ধে প্র‌য়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হ‌বে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম জানানো হয়নি। এছাড়া ১৭৩টি খাদ্যপণ্যের নমুনাও পরীক্ষাধীন।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বিএসটিআই দেশের একমাত্র জাতীয় মান প্রণয়নকারী সংস্থা। বর্তমানে ২২৭টি পণ্য বিএসটিআই বাধ্যতামূলক মানসনদের আওতাভুক্ত করেছে। বিএসটিআই পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শুধুমাত্র মানসম্মত পণ্যের অনুকূলে সিএম লাইসেন্স প্রদান বা নবায়ন করে।

করোনা মহামারিকালে বিএসটিআই তার সেবা অব্যাহত রেখেছে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআইয়ের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু আছে। আমদানিকৃত পণ্যসহ জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ পণ্য পরীক্ষা করার জন্য বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিগুলো খোলা রাখা হয়েছে। বিভিন্ন শপিং মলসহ যেসব দোকান খোলা আছে, সেগুলো মানসম্মত পণ্য সঠিক ওজন ও পরিমাপে বিক্রি/বিতরণ করছে কি-না, তা সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে যাচাই করছে।

শিল্পমন্ত্রী  জানান, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, পণ্যের ওজন এবং পরিমাপে কারচুপি রোধে চলমান ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম জোরদার করা হবে। ঢাকা মহানগরীতে বিএসটিআইয়ের নিজস্ব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় প্রতিদিন কমপক্ষে ২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। 

এসআই/এসকেডি